<p>ভোট না দিয়েই আঙুলে কালি লাগিয়ে দেন পোলিং অফিসার। ভোট না দিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে ফিরে আসতে হল এক গৃহবধূকে। দায়িত্বরত পোলিং অফিসার বলেন ভোট দেওয়া হয়ে গেছে বাড়ি চলে যান। পরে তিনি ভোট কক্ষ থেকে বেড়িয়ে আসেন।</p> <p>ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত তৃতীয় ধাপের উপজেলার নির্বাচনে লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নুর নবীর স্ত্রী গৃহবধূ মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে এমনটা ঘটেছে।</p> <p>রবিবার (৯ জুন) দুপুর ১টার দিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে মধ্য কালমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসেন তিনি। কেন্দ্রের ৭ নম্বর কক্ষে ভোট দিতে গিয়ে দেখেন তার নামে টিক দেওয়া। </p> <p>এ সময় তার সাঙ্গে থাকা অন্য লোকজন তাকেসহ পুনরায় ভোট কক্ষে গেলে দেখা যায় ভোটার তালিকার ১২১৬ নম্বরে তার নামে টিক দেওয়া রয়েছে। কিন্তু মনোয়ারা বেগম ভোট না দিলেও তার ভোট কে দিয়েছে সে কথা সহকারী প্রিজাইডিংসহ কেউই বলতে পারছেন না।</p> <p>ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার গীতা রাণী মন্ডলকে মনোয়ারা বেগমকে ভোট না দেয়ার পরও কেনো কালি লাগানো হলো জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। পোলিং অফিসার কালি লাগিয়েছেন। তবে তার ব্যালট পেপারে ১২১৬ নম্বর ভোট দেওয়া হয়ে গেছে।</p> <p>পোলিং অফিসার মো. আব্দুর রব জানান, মনোয়ারা বেগমের নামে টিক চিহ্ন থাকায় তিনি কালি লাগিয়েছেন।</p> <p>এ বিষয়ে মধ্য কালমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার মো. জুনায়েদ কামাল কালের কণ্ঠকে জানান, ভোটার তালিকায় মনোয়ার বেগম নামে দুইটি নাম থাকায় মিসটেক হয়েছে। তবে দুইটি নামেই টিক চিহ্ন দেওয়া রয়েছে। এখন কী করবেন সেটি তিনিও বুঝে উঠতে পারছেন না। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে মনোয়ারা বেগমের ভোট দেয়ার ব্যবস্থা নিবেন।</p> <p>এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, তিনি বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নিবেন।</p>