<p>বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা গ্রামের এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৩) লোহার শিকলে হাত-পা বেঁধে ঘরের দরজা বন্ধ করে অমানবিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে।</p> <p>স্থানীয় লোকজন ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়ায় বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা গ্রামের ওই ছাত্রীকে একই উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রাংতা গ্রামের মো. সাজিদ মোল্লার সঙ্গে তিন মাস আগে বাল্যবিবাহ দেওয়া হয়। তবে স্বামীর বাড়ি যেতে না চাওয়ায় তিন দিন ধরে লোহার শিকলে হাত-পা বেঁধে রাখা হয় তাকে। শনিবার রাতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায়ই তার ওপর নির্যাতন চালান বাবা মো. জামাল হাওলাদার, মা মারুফা বেগম ও দুলাভাই আল-আমীন আকন।</p> <p>নির্যাতিত পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী বলে, ‘আমি স্বামীর বাড়ি যাব না বলে আমাকে বাবা, মা ও দুলাভাই মিলে তিন দিন লোহার শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে ঘরে বন্দি করে রাখে। এরপর শনিবার রাতে ঘরে দরজা বন্ধ করে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ঝুলিয়ে পেটায়। আমি এখন লেখাপড়া করতে চাই। আপনারা আমার লেখাপড়ার ব্যবস্থা করুন।’</p> <p>অভিযুক্ত মা মারুফা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে তার স্বামীর সংসারে যাবে না বলে তাকে শাসন করা হয়েছে। তাকে লোহার শিকল দিয়ে হাত-পা বাঁধা হয়েছে এ কথাও সত্য।’</p> <p>এ ব্যাপারে বাগধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি বলেন, ‘বিষয়টি অন্যায়, অপরাধ। আমি অপরাধীর বিচার দাবি করছি।’</p> <p>আগৈলঝাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে এসআই মাহফুজ হোসেনকে পাঠিয়েছিলাম। তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নির্যাতিতাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। উদ্ধারের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p> <p>এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন বলেন, ‘বিষয়টি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আমি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’</p>