<p style="text-align: justify;">সুমাইরা আক্তারের বয়স তিন বছর ৩ মাস। জন্মের পর থেকে মাঝে মধ্যে শ্বাসকষ্ট হতো তার। দেড় মাস পর ধরা পড়েছে, তার হার্টে ছিদ্র আছে। তার এই চিকিৎসায় প্রয়োজন সাড়ে চার লাখ টাকা। কিন্তু সুমাইরার বাবার পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সুমাইরার বাবা-মা। </p> <p style="text-align: justify;">সুমাইরা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌর শহরের বাসিন্দা ও ভাসমান জুতা ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ও গৃহিণী কবিতা আক্তারের মেয়ে। তাদের সুলাইমান নামে ২ বছর ২ মাসের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">সুমাইরার বাবা শফিকুল ইসলাম জানান, কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুমাইরার হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে। তিন মাস বয়সে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১৪ দিন লাইফ সাপোর্টে রাখতে হয় তাকে। আড়াই বছর বয়স পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন লাগিয়ে রাখতে হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে অক্সিজেনও দিতে হচ্ছে না। বর্তমানে ল্যাবএইড হাসপাতালের চিকিৎসক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমার তত্ত্ববধানে চিকিৎসা চলছে তার। </p> <p style="text-align: justify;">চিকিৎসকরা সুমাইরাকে দ্রুত ওপেন হার্ট সার্জারি করার পরামর্শ দিয়েছেন। ভাসমান জুতার দোকান ও ধার-দেনা করে এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ করেছেন সুমাইরার চিকিৎসায়। সুমাইরার ওপেন হার্ট সার্জারি করতে প্রয়োজন সাড়ে চার লাখ টাকা। কিন্তু হতদরিদ্র বাবার পক্ষে এই খরচ বহন করা সম্ভবন হয়। তাই তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। </p> <p style="text-align: justify;">পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম মিয়া বলেন, ভাসমান জুতার দোকান করে এ ধরনের রোগের চিকিৎসার কথা ভেবে পরিবারটি দিশাহারা হয়ে পড়েছে। অসহায় পরিবারটি প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত সকলের।</p> <p style="text-align: justify;">সুমাইরার চিকিৎসা সহযোগিতার জন্য অগ্রণী ব্যাংক মির্জাপুর শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- ০২০০০১৮৯৬১৫৯২। </p>