<p>বঙ্গোপসাগরে গভীর নিন্মচাপের প্রভাবে শনিবার দুপুর থেকে উপকূলীয় কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া, মরিচ্চাপ, ইছামতিসহ বিভিন্ন নদ নদীতে পানির চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। </p> <p>সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চুনা নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কলবাড়ি গ্রামের ১৩ টি পরিবার জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ বেড়ি বাঁধের উপর আছড়ে পড়ছে পানি। ফলে উপকূলজুড়ে আতংক বিরাজ করছে।</p> <p>এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় ৮৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী সাইক্লোন শেল্টার ১৬৯টি ও অস্থায়ী ৭১৮টি। এসব কেন্দ্রে চার লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসন।</p> <p>শনিবার (২৫ মে) জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের স্টেশন ত্যাগ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</p> <p>তিনি বলেন, আসন্ন ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনিসহ কালিগঞ্জ দেবহাটা এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত, শুকনো খাবার মজুত, প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুত করতে ও পর্যাপ্ত খাবার-পানি মজুত রাখতে বলা হয়েছে। </p> <p>এছাড়া দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ, নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে।</p> <p>জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এ (মোবাইল-০১৭৭৫৯১৭০৭১, টেলিফোন-০২-৪৭৭৭৪২৩৪৪) নম্বরগুলোতে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা যাবে।</p> <p>সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, বর্তমানে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের যে গতিপথ আছে সেটি ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত বরারব সুন্দরবন উপকূলের দিকে। ঝড়ের দিক পরিবর্তন হলে সাতক্ষীরা থেকে পটুয়াখালী জেলার উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা আছে।</p>