<p>শেরপুরে হাইব্রিড ‘আপন’ জাতের ধান আবাদ পরিদর্শন করেছেন ধানটির উদ্ভাবকসহ চীনা বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে নকলা উপজেলার চরমধুয়া এলাকায় কৃষক হুমায়ুন মিয়ার ১৭ কাঠা (৮৫ শতাংশ) জমিতে বোরো মৌসুমে আবাদকৃত নতুন জাতের এই ধানক্ষেতের ফলন ও সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন তারা। </p> <p>পরিদর্শন দলে ছিলেন জাত উদ্ভাবক চীনের সাইথওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষক অধ্যাপক হু, বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান চীনের এয়ার ফার্মারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সালামো, বিক্রয় ব্যবস্থাপক জেসমিন। এ সময় তাদের সাথে ছিলেন এসিআই সিড লিমিটেডের ব্যবসা পরিচালক সুধীর চন্দ্রনাথ, বিক্রয় ব্যবস্থাপক মনোসিজ কুমার মন্ডল, প্রডাক্ট ম্যানেজার মো. হুমায়ুন রফিক, কর্মকর্তা অলোক চন্দ্র শীল প্রমুখ। </p> <p>পরিদর্শনকালে চীনা বিশেষজ্ঞরা আবাদ করা ধানক্ষেতে নেমে বিভিন্ন অংশ থেকে ধানগাছের গোছা এবং শীষ সংগ্রহ করে সেগুলোতে ধানের সংখ্যা গণনা করেন এবং এর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। পরে তারা স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলেন এবং মাঠ দিবসে বক্তব্য দেন। </p> <p>এসিআই সিড লিমিটেডের ব্যবসা পরিচালক সুধীর চন্দ্রনাথ জানান, এসিআই ফরমুলেশন হাইব্রিড ধান-১৯, যার বাণিজ্যিক নাম হলো আপন। বোরো মৌসুমে আবাদযোগ্য এ ধানটি চিকন এবং গড় ফলন হেক্টরে প্রায় সাড়ে ৯ টন। অর্থাৎ শতাংশপ্রতি প্রায় এক মণ করে। তা ছাড়া এই ধান পাতা পোড়া রোগ প্রতিরোধী, প্রবল বাতাসেও ধান ঝরে পড়ে না। এর ভাতও বেশ ঝরঝরে ও পুষ্টিমানসমৃদ্ধ। দেশের সব এলাকায় এই ধান আবাদযোগ্য হওয়ায় কৃষকদের মাঝে নতুন এই হাইব্রিড জাতের ধানটি নিয়ে বেশ সাড়া পড়েছে। </p> <p>তিনি জানান, চীন থেকে আমদানি করা এই ধান জাতটি কৃষি বিভাগের অনুমোদন পাওয়ায় এসিআই সিড কম্পানি আগামী বছর থেকে এটির বাজারজাত করবে। এ জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় পর্যায়ে কৃষক মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে। চীন থেকে আগত জাত উদ্ভাবক ও কৃষি বিশেষজ্ঞরা সরেজমিনে এটির আবাদ পরিদর্শনে এসেছেন।</p> <p>মাঠ দিবসে বীজ ডিলার মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অতিথিরা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে শতাধিক কৃষক-কৃষানি, বীজ ব্যবসায়ীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। </p> <p>এ সময় স্থানীয় কৃষকরা জানান, হাইব্রিড ধান-১৯, যা আপন নামে পরিচিত। ধানটির ফলন এবার বেশ ভালো হয়েছে। সামনের দিনে এই আপন ধান কৃষকদের অতি আপন হয়ে উঠবে।</p>