<article> <p style="text-align: justify;">গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বিদাই আবদার এলাকায় বন বিভাগের গেজেট নোটিফিকেশনভুক্ত অন্তত ১০ বিঘা জমি দখল করে সীমানা বেষ্টনী নির্মাণ করছেন আব্দুল মতিনসহ তাঁর তিন ভাতিজা। জমিটির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ছয় কোটি টাকা।</p> <p style="text-align: justify;">গত ২৩ এপ্রিল থেকে চারপাশে বড় বড় গর্ত করে সেখানে ঢালাই দিয়ে লোহার অ্যাঙ্গলের খুঁটি পোঁতা হয়। পরে ওই খুঁটিতে অ্যাঙ্গল দিয়ে কাঠামো তৈরি করে ঝালাই (ওয়েল্ডিং) করেন মিস্ত্রিরা। অ্যাঙ্গলের ওই কাঠামোতে রঙিন টিন দিয়ে বেষ্টনী নির্মাণ করা হয়েছে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করে রাত-দিন পাহারা বসিয়ে ওই সীমানা বেষ্টনী নির্মাণ করা হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে কালের কণ্ঠ খোঁজখবর নেওয়া শুরু করলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা স্রেফ টিন খুলে দায়িত্ব সেরেছেন।</p> <p style="text-align: justify;">বন দখলে অভিযুক্ত আব্দুল মতিনের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান স্বীকার করে বলেন, গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও কাওরাইদ বিট কর্মকর্তা ঘটনাস্থল গিয়ে সীমানা বেষ্টনী থেকে টিন খুলে সরিয়ে রাখেন। তবে অ্যাঙ্গল দিয়ে নির্মাণ করা ফ্রেম রয়ে গেছে। যেকোনো সময় ফের ওই টিন দিয়ে বেষ্টনী নির্মাণ করা হবে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">আতাউর রহমান আরো জানান, জমিটি একজন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তাঁকে দখল বুঝিয়ে দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">অভিযুক্ত আব্দুল মতিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সিএস, এসএ ও আরএস রেকর্ডমুলে জমিটির মালিক আমরা। তবে জমিটি গেজেট নোটিফিকেশনভুক্ত। ফলে আমরা ২০২২ সালে সীমানা নির্ধারণের (ডিমারকেশন) জন্য আবেদন (নম্বর-৯৪/২২) করি। কিন্তু এখনো বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি।’</p> <p style="text-align: justify;">সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন না হতেই জমির দখল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু বেড়া দিতাছি।’</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লাল পুকুরপার বিদাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা সড়ক ঘেঁষা জমির পূর্ব পাশে এরই মধ্যে লোহার ফ্রেম দৃশ্যমান। পেছনে বড় বড় গর্ত করে ঢালাই দিয়ে অ্যাঙ্গলের খুঁটি পোঁতার কাজও শেষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানায়, পেছনে সীমানা বেষ্টনী নির্মাণকালে অনেক গাছ কেটে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">বিষয়টি প্রসঙ্গে কাওরাইদ বন বিট কর্মকর্তা বনি শাহাদাত কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘কী জানতে চান অফিসে আসুন।’</p> <p style="text-align: justify;">তবে শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘জমিটি বন বিভাগের গেজেট নোটিফিকেশনভুক্ত। উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমরা আদালতে আরএস রেকর্ড  সংশোধন মামলা করেছি।’</p> </article>