<p>টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেটের দুই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতে জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়েছে। ডুবেছে বোরো ধানের জমিও। এ ধারা অব্যাহত থাকলে উপজেলাজুড়ে বন্যার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।</p> <p>পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয় জানিয়েছে, জেলার কানাইঘাট উপজেলায় সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১.৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং গোয়াইনঘাটের সারিঘাটে সারি গোয়াইন নদীর পানি বিপৎসীমার ৩.৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।</p> <p>এদিকে টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল জলবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বোরো ধানের জমি জলমগ্ন হয়েছে।</p> <p>জানা গেছে, কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে নয়াবাড়ী, হর্নি, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, ফুলবাড়ী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষ্মীপুর, ২ নম্বর লক্ষ্মীপুর, আমবাড়ী, ঝিঙ্গাবাড়ী, কাঁঠালবাড়ী, নলজুরী হাওরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে কয়েক হাজার হেক্টরের বোরো ধান।</p> <p>উপজেলা বৃহৎ নদী সারী ও বড় নয়াগাং নদী এবং রাংপানি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। টানা বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নদীর পানি সমূহ বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।</p> <p>সারী-গোয়াইন বেড়িবাঁধ প্রকল্পের কর্মকর্তা মো. আলা উদ্দিন বলেন, ‘টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি নিম্নাঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পানি বিপৎসীমার সন্নিকটে প্রবাহিত হবে।</p> <p>জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজির আহমদ বলেন, ‘টানা বৃষ্টির সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে আমার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল। বোরো ফসলের জমিও ডুবছে। সকাল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় দুপুরের পর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হলে শঙ্কা কেটে যাবে আশা করি।’</p> <p>এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অনেক বৃষ্টি হয়েছে। কয়েক দিন ধরে হচ্ছে। গত রাতেও হয়েছে। তবে বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি এখনো। রাতের বৃষ্টির কারণে পানি উঠেছিল সকালের দিকে। আজ বৃষ্টি না হওয়ায় দুপুরে অনেকটা কমে গেছে।’</p> <p>ফসলহানির শঙ্কা আছে কি না প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ফসল প্রায় কাটা হয়ে গেছে। তাই বড় ক্ষতির শঙ্কা নেই। পাহাড়ি ঢলের বিষয়টি মাথায় ছিল বলেই আমি ফসলের বিষয়ে একটু আগে থেকেই পদক্ষেপ নিয়েছি। যাতে ফসল সময়ের আগে কাটা হয়ে যায়। প্রায়  ৮০ শতাংশ ফসল কাটা হয়ে গেছে।’</p>