<p style="text-align: justify;">মাদারীপুরের কালকিনিতে পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। নিহত মোতালেব ঘরামী (৬২) কালকিনি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মিনাজদী গ্রামের বাসিন্দা।</p> <p style="text-align: justify;">জানা যায়, ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নের উত্তর ভাউতলী গ্রামের মৃত সোরপান সরদারের মেয়ে জেসমিন আক্তার মাদারীপুর আদালতে একটি যৌতুক মামলা করেন। মামলায় জেসমিনের স্বামী কালকিনি পৌরসভার পশ্চিম মিনাজদী গ্রামের জুলহাস ঘরামী, তার ভাই, বাবাসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় তাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। </p> <p style="text-align: justify;">ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের ধরতে গতকাল বুধবার রাতে অভিযানে যায় কালকিনি থানা পুলিশের একটি দল। পরে নিজবাড়ি থেকে জুলহাস ঘরামী ও তার দুইভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের ভয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি জুলহাসের বাবা মোতালেব ঘরামী দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। চারপাশ অন্ধকার থাকায় ভয়ে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় মোতালেবের।</p> <p style="text-align: justify;">স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিকভাবে জুলহাসের সঙ্গে বিয়ে হয় জেসমিনের। বিয়ের পর থেকে নানা কারণে জেসমিনকে মারধর করে যৌতুক দাবি করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। একপর্যায়ে অত্যাচার সইতে না পেরে জেসমিন বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। বর্তমানে জেসমিন বাবারবাড়ি রয়েছেন।</p> <p style="text-align: justify;">মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান বলেন, গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালাতে গিয়ে ভয়ে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মোতালেব ঘরামী মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ তার তিন ছেলেকে গ্রেপ্তার করলেও মোতালেবকে গ্রেপ্তারও করেনি। অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে মোতালেবের দেখাও হয়নি। হাসপাতালে নেওয়ার পরে পুলিশ জানতে পারে, ৬২ বছরের বৃদ্ধ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মোতালেব মারা গেছেন।</p>