<p style="text-align: justify;">লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনার চার দিন পর আহত ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। </p> <p style="text-align: justify;">এর আগে ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড়ে অতর্কিত হামলায় সজিবসহ চারজন আহত হন। অভিযোগ রয়েছে- তাদেরকে গুলিও করা হয়েছে। </p> <p style="text-align: justify;">সজিবের মৃত্যুর বিষয়টি চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ নিশ্চিত করেছেন। সজিব তার অনুসারী ছিলেন। ঘটনার পর মাসুদ তাকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। মাসুদ বলেন, সজিবের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। এর পর থেকে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। ঘটনার পর থেকে সজিব আর পৃথিবীর আলো দেখেনি। আমার ভাইটাকে তারা মেরে ফেলল। </p> <p style="text-align: justify;">সজিব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে। </p> <p style="text-align: justify;">জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, 'সজীব আর আমাদের মাঝে নেই। ছাত্ররাজনীতিতে একটি পরিচয়ের জন্য তাঁর অনেক পরিশ্রম ছিল। আমাদের ক্ষমা করে দিস ভাই।'</p> <p style="text-align: justify;">এদিকে হামলার ঘটনায় সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্যসচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার চন্দ্রগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদের লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। </p> <p style="text-align: justify;">এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগকর্মী সজিব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে সজিবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজিব, সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় পাঠান।</p>