<p>ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। এ কর্মসূচির দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করতে নানা পদক্ষেপ নেয় উপজেলা প্রশাসন। নতুন পদক্ষেপ অনুসারে, পুরনো উপকারভোগীদের নাম বাতিল করে নতুন করে তালিকা প্রকাশ করা হয়।</p> <p>জানা যায়, ফুলপুর-তারাকান্দায় প্রায় ৫০ হাজার অসহায় পরিবারকে ১০ কেজি চাল ঈদের আগে বিতরণ করা হয়। প্রভাবশালী মহল এ চাল নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নেয়। ফলে সঠিক উপকারভোগীরা এ চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল।</p> <p>ফুলপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর ১০টি ইউনিয়নে ২১ হাজার ৫৯০টি কার্ডের মাধ্যমে ও পৌরসভায় পাঁচ হাজার অসহায় পরিবারের মধ্যে ডিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে সঠিক উপকারভোগী নির্বাচন না করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এ চাল বিতরণ করা হয়। ফলে সঠিক উপকারভোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। তা ছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকায় সাধারণ মানুষ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করার সাহস করেন না।</p> <p>খাদ্য অধিদপ্তরের ১০ কেজি চাল নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের খবর জেনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম আরিফুর রহমান। গত ১-২ এপ্রিল উপজেলার ১০ জন ইউপি চেয়ারম্যান, সচিব ও মেম্বারদের নিয়ে আলোচনা করে পুনরায় উপকারভোগীদের তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তা ছাড়া প্রায় ১০ হাজারের বেশি কার্ড বাতিল করে নতুন করে তালিকা প্রকাশ করা হয়। পৌরসভার সব উপকারভোগী স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে চাল পেয়েছেন। </p> <p>ফুলপুর উপজেলার পিআইও আশিষ কর্মকার বলেন, গত ৩ এপ্রিল থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে নতুন তালিকার মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হয়েছে। আগামীকাল সব কার্ডধারী চাল পেয়ে যাবেন।</p> <p>ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.বি.এম আরিফুল ইসলাম বলেন, আমার যোগদানের পর অনিয়মের খবর পেয়ে তা বন্ধ করার চেষ্টা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্যবান্ধব এ কর্মসূচীর চাল নিয়ে কেউ দুর্নীতি ও অনিয়ম করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। <br />  </p>