<p>মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বাজারে বিসমিল্লাহ্ ক্লথ স্টোর নামক একটি দোকান থেকে ক্রয়কৃত কাপড় পরিবর্তন করতে এসে হামলার শিকার হয়েছেন খাতুনা বেগম (৬৫) নামে এক নারী ক্রেতা। দোকানের কর্মচারীরা তাকে ঝাড়ু ও কাঠের রোল দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করেছে। আহত নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতের বাড়ি শমসেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলী গ্রামে।</p> <p>এ ঘটনায় বাজারে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। স্বজনরা ছুটে আসলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে অভিযুক্ত হামলাকারীরা পালিয়ে যান। দুই ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শমশেরনগর বাজারের চৌমুহনী এলাকার আরপি মার্কেটের বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোরে  ঘটে।</p> <p>জানা যায়, শমশেরনগর বাজারের স্টেশন রোডে বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোর থেকে কিনে নেওয়া কাপড় পরিবর্তন করানোর জন্য ইফতারের পূর্বে দোকানে আসেন মহিলা ক্রেতা খাতুন বেগম। তখন বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোরের মালিক আব্দুল মন্নানের ছেলে নোমান মিয়া বিক্রয় কাপড় পরিবর্তন করা যাবে না বলে নারী ক্রেতাকে সরে যাওয়ার জন্য বলেন। তিনি কাপড়টি তার মেয়ে কিনে নিয়েছে জানিয়ে পরিবর্তন করে দেওয়ার অনুরোধ জানালে একপর্যায়ে ওই নারীর গায়ে হাত দিয়ে সরে যেতে বললে নারী ক্রেতা ও দোকান কর্মচারীদের মধ্য কথা কাটাকাটি হয়। তখন দোকানে থাকা ঝাড়ু ও কাঠের রোল দিয়ে খাতুনা বেগম ও সঙ্গে থাকা পুরুষ নূরুল ইসলামকে (৪২) রক্তাক্ত করে। রক্তাক্ত নারীর অবস্থা দেখে দোকানের ক্রেতারা প্রতিবাদ জানালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। খবর পেয়ে আহত নারীর আত্মীয়স্বজন ও শতাধিক ক্রেতা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। পরে পুলিশ ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দরা এসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। </p> <p>আহত নারী খাতুনা বেগমের ছেলে খসরু মিয়া বলেন, আমার আম্মা কাপড় পরিবর্তন করার জন্য নিয়ে আসেন। তাদের বিক্রি করা কাপড় ছোট হয়ে যাওয়ায় সেটি পরিবর্তন করতে চান। তারা কাপড় পরিবর্তন না করেই ঝাড়ু ও কাঠের রোল দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এটি কোনো সময়েই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।</p> <p>শমশেরনগর বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল হান্নান বলেন, আমরা অভিযুক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলেছি। সুষ্ঠু সমাধা হওয়ার পর দোকান খোলা হবে।</p> <p>শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি (নি:) শামীম আকনজি বলেন, বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোর বন্ধ রয়েছে এবং অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে। রাতের মধ্যেই যদি সুষ্ঠু সমাধান না হয় তাহলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</p>