<p>ডাকাতি রোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই সড়কে ঝোপঝাড় পরিষ্কার শুরু হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। মঙ্গলবারও ১৪ জন শ্রমিক সরাইল-নাসিরনগর সড়কের সরাইলের ধরন্তী এলাকায় ঝোপ পরিষ্কারের কাজ করেন। উদ্যোগটির অংশ হিসেবে সাত কিলোমিটার সড়ক পরিষ্কার করা হবে।</p> <p>মঙ্গলবার সরাইল অংশে এ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মেজবাহ উল আলম ভূঁইয়া, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বেশ কিছু সময় উপস্থিত থেকে এ কাজের তদারকি করেন। আপাতত পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক ব্যয় বহন করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে উপজেলা প্রশাসনও এতে সহযোগিতা করবে বলে জানানো হয়েছে।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই সড়কের সরাইলের অংশ শেষ হওয়ার একটু আগে থেকে ধরন্তী এলাকায় প্রায়ই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই এলাকাটি হাওর এলাকা। কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে বাড়িঘর একেবারেই নেই। সড়কের পাশে ঝোপগুলো অনেক বড়। ডাকাতরা এসব ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থেকে সহজেই ডাকাতি করতে পারে। পুলিশ তৎপরতায়ও এ ডাকাতি রোধ করা যাচ্ছে না। একই অবস্থা নাসিরনগর-লাখাই সড়কের বেলায়ও। এ অবস্থায় ঝোপ পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ হতে ধরন্তী কুইট্টা সেতু পর্যন্ত এবং সেখান থেকে নাসিরনগর পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা শুরু হয়। এটি পরিষ্কার করতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।</p> <p>সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ঈদে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বলে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে একযোগে ১৪ জন শ্রমিক কাজ করছেন। সামনের দিনে আরো শ্রমিক বাড়ানো হবে।</p> <p>নাসিরনগর থানার ওসি মো. সোহাগ রানা বলেন, ‘আমাদের উপজেলার অংশেও অচিরেই কাজ শুরু করা হবে। এ কাজটি করাতে আর্থিক জোগান লাগবে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে। এর পরই আমরা কাজ শুরু করব।’</p>