<p>দীর্ঘ ১৪ মাস বন্ধ থাকার পর আবারও উৎপাদনে ফিরেছে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি বিগত ২০২২ সালের নভেম্বরে প্রথমে ১টি এবং ২৩ সালের মার্চ মাসে দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। এরইমধ্যে কয়েক দফায় মেরামত করেও তা আর চালু করা যায়নি। একপর্যায়ে গ্যাস সরবরাহের যন্ত্রাংশে ত্রুটি ধরা পড়ে। ফলে উৎপাদন না হওয়ায় বন্ধ থাকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ। তবে নতুন যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন এবং দেশি ও বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় প্রাণ ফিরে পায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। </p> <p>নির্ধারিত সময়ে গ্যাস বুস্টারের যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তারপর চালু করার উদ্যোগ। কিন্তু অন্য জায়গায় আরো কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে। এতে নতুন করে যোগ হয় দুঃশ্চিন্তা। কিন্তু তাতেও দমে যাননি সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। দিনরাত ব্যস্ত তারা। সারিয়ে তুললেন সব বাধা। অবশেষে সফল হলেন দেশি ও বিদেশি প্রকৌশলীরা। কেন্দ্রের কন্ট্রোল প্যানেলে অবস্থানকারী এসব প্রকৌশলীর চোখেমুখে উচ্ছ্বাস আর আনন্দ। কারণ, এখন উৎপাদনে চাকা ঘুরছে। ফলে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা ঠিক ৭টায় প্রাণ ফিরেছে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের। এদিকে, দীর্ঘদিন পর কেন্দ্রটি চালু হওয়ায় দারুণ খুশি সংশ্লিষ্টরা।</p> <p>অন্যদিকে, মঙ্গলবার থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে এই কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ। তাই নির্ধারিত সময়ে চালু করে উৎপাদনে যেতে পেরে স্বস্তির কথা জানান বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ নূরুল আবছার। তিনি আরো জানান, গ্যাস বুস্টারসহ আরো কিছু যন্ত্রাংশ বিকল ছিল। সেগুলো নতুন করে আমেরিকা থেকে আমদানি করতে সময় লেগেছে। তাই একটু দেরি হয়েছে উৎপাদনে যেতে। তার সঙ্গে ভারত, চীন ও ইন্দোনেশিয়া থেকে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা আমাদের প্রকৌশলীদের সঙ্গে নিয়ে একটানা ১৪ মাস নিরলসভাবে কাজ করে উৎপাদনে ফিরে এনেছে কেন্দ্রটি। এরমধ্যে দুটি ইউনিটের একটি পুরো দমে অন্যটিও পর্যায়ক্রমে চালু হবে। উৎপাদিত সেই বিদ্যুৎও জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।</p> <p>পুরোপুরি প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চালু হয় বিগত ২০১২ সালে। এটি চালু করতে এক হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়। সরকারি অর্থায়নে নির্মাণকাজ করে বিদেশি একটি কম্পানি। </p>