<p>বরগুনার আমতলীতে কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এতে লজ্জায় ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এতে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।</p> <p>অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়া এলাকার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ওই গ্রামের মৃত কালা মিয়া হাওলাদারের ছেলে বখাটে জুয়েল হাওলাদার প্রায়ই যৌন হয়রানি করত। গত বুধবার সকালে মেয়েটি স্কুলে যাওয়ার পথে জুয়েল তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি তার ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরের দিন জাহিদ, শান্ত রাব্বি, জহিরুল ইসলাম এবং রবিন নামে ৪ থেকে ৫টি ফেসবুক আইডি থেকে ‘মেয়েটি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্ব’ বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালায় এবং তা ভাইরাল করে। বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী এবং তাঁর পরিবার জানার পর এখন লোকলজ্জার ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ভুক্তভোগী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ওই ঘটনার বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগীর বাবা আমতলীর ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।</p> <p>ওই শিক্ষার্থী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি স্কুলে আসা যাওয়ার পথে জুয়েল আমাকে প্রায়ই উত্যক্ত করত। গত বুধবার সে কু-প্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। আমি এখন কিভাবে মানুষকে মুখ দেখাব। মরা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নাই। আমি ওই ঘটনার বিচার চাই।’</p> <p>শিক্ষার্থীর মা জানান, ‘মেয়ে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে জুয়েল প্রায়ই খারাপ খারাপ কথা বলত। বুধবার বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে জুয়েল আমার মেয়েকে কু-প্রস্তাব দেয়। সে রাজি না হওয়ায় জুয়েল মেয়ের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে মিথ্যা কথা দিয়া ভাইরাল করে। আমি ওই ঘটনার বিচার চাই।’</p> <p>শিক্ষার্থীর বাবা জানান, ‘জুয়েলের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মেয়ের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে অপপ্রচার চালিয়ে আমার মেয়ের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে বখাটে জুয়েল। মেয়েটি এখন লোকলজ্জার ভয়ে স্কুলে যাওয় বন্ধ করে দিয়েছে। আমি ওই ঘটনার বিচার চাই।’</p> <p>এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুয়েল হাওলাদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, সে ঘটনার সাথে জড়িত নয় দাবি করে। তাৎক্ষণিক তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দিয়ে সেটি বন্ধ করে ফেলে।</p> <p>আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</p>