<p>মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে আবারও তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। দায়িত্বশীল কোনো পক্ষ এ বিষয়ে বিস্তারিত না জানালেও বিভিন্ন সূত্র বলেছে, মিয়ানমারের সরকারি সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সঙ্গে সরকারবিরোধী সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান আর্মির (এএ) এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে।</p> <p>এদিকে সূত্র জানায়, সশস্ত্র হামলার মুখে টিকতে না পেরে সেখান থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১৪ জন সদস্য বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি বর্ডার অবজারভেশন পোস্টে আশ্রয় নেন।</p> <p>তবে এ বিষয়ে বিজিবি বা স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।</p> <p>বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওপার (মিয়ানমার)  থেকে নিক্ষিপ্ত গুলিতে এপারের একজন নারী ও একজন পুরুষ আহত হয়েছেন। এ বিষয়েও বিস্তারিত জানা যায়নি।</p> <p>বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সীমান্তের ওপারের উত্তেজনা সম্পর্কে তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।</p> <p>তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে তাদের স্বজনদের বাড়িতে নিয়ে আসতে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদকে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজন হলে সীমান্ত লাগোয়া স্কুলগুলোকে সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</p>