<p style="text-align: justify;">কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের সদ্যঃসাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম খান মারা গেছেন। বুধবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর মেয়ে নাজিয়া হাশেম তানজি।</p> <p style="text-align: justify;">জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ওই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ জাহেরের কাছে পরাজিত হন আবুল হাশেম খান। অবশ্য ভোটগ্রহণের আগে থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অসুস্থতার কারণে এক দিনও প্রচারণায় আসতে পারেননি।</p> <p style="text-align: justify;">এর আগে ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল সাবেক আইনমন্ত্রী এবং ওই আসনের এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে হাশেম খানকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। একই বছরের ১৪ জুলাইয়ের উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলের জনক।</p> <p style="text-align: justify;">কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আবদুছ ছালাম বেগ জানান, বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কুমিল্লা আদালত প্রাঙ্গণ, দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণপাড়া সদর, বাদ জোহর বুড়িচং সদর ও বাদ আসর তার গ্রামের বাড়ির গিলাতলায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাঁকে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।</p> <p style="text-align: justify;">পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে হৃদরোগের কারণে আবুল হাশেম খানের বাইপাস সার্জারি হয়। এর পর থেকে তিনি বিশ্রামে ছিলেন। এরই মধ্যে তিনি এবারের নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর একদিন এলাকার একটি কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর থেকে ঢাকায় হাসপাতাল ও বাসায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। </p> <p style="text-align: justify;">প্রসঙ্গত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম খান ১৯৫৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর বুড়িচং উপজেলার উত্তর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক জীবনে ১৯৭৬ সালে বুড়িচং উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তিন বছর পর হন সাধারণ সম্পাদক। ২০০৩ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে তাঁকে করা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। ২০১৯ সালে কমিটি গঠন হলে পুনরায় সভাপতির দায়িত্ব পান সদ্যঃপ্রয়াত এই রাজনীতিবিদ। সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।</p>