<p>চট্টগ্রাম আদালতে একটি চেক প্রচারণা মামলায় ৬ মাসের কারাদণ্ডর রায় শুনে পালিয়ে ছিলেন আসামি মো. সাইফুল করিম খান। </p> <p>আজ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই ঘটনা ঘটে। তবে পালিয়ে যাওয়ার তিন ঘণ্টা পরে আসামি সাইফুলকে বন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় দায়িত্ব পালন করা কনস্টেবল মো. কবির হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। </p> <p>চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নিশান চাকমা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যুগ্ম মহানগর ১ম আদালতে মো. সাইফুল করিম নামে এক আসামিকে চেক প্রতারণা মামলায় ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। কারাগারে পাঠানোর আগেই আদালতের লকআপ থেকে পালিয়ে যান সাইফুল। সাইফুল পুলিশ কনস্টেবল কবির হোসেনের হেফাজতে ছিলেন। কবির সাইফুলকে লকআপে রেখে অন্য এক আসামিকে ডাকার জন্য যান। এই সুযোগে সাইফুল আদালত থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় দায়িত্বরত পুলিশের কনস্টেবল কবির হোসেনকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’<br />  <br /> কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আদালত থেকে  পালিয়ে যাওয়ার পরপরই থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়। এরপর সাইফুলকে রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ </p> <p>এদিকে মামলার বাদীর আল মুজিব বসরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট দিদারুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সাইফুল করিম খানের বিরুদ্ধে আদালতে চেক প্রতারণার মামলা করা হয়। এই মামলায় আসামি সাইফুলকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন। আসামি সাইফুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।’</p>