<article> <p style="text-align: justify;">নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত ৪৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী প্রাণনাশের হুমকিতে ঘটনার মূল হোতা দুজনের নাম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেননি।</p> <p style="text-align: justify;"><img alt="৪৪ জনকে আসামি করে মামলা" height="476" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/january/19-01-2024/9090000.jpg" style="float:left" width="344" />গত বুধবার রাতে ভুক্তভোগী দাউদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ওরফে জাহাঙ্গীর মাস্টার বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলার এজাহার দায়ের করেছেন। মামলার বিষয়টি গতকাল বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপঙ্কর চন্দ্র সাহা কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেন।</p> </article> <p style="text-align: justify;">ওসি জানান, ইউনিয়ন পরিষদে হামলার ঘটনায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ২১। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান তিনি।</p> <p style="text-align: justify;">এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে দুই ঘণ্টাব্যাপী হামলায় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টারের গাড়িসহ অন্তত পাঁচটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই সময় চেয়ারম্যান কার্যালয়ে থাকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও ভাঙচুর করে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। ভাঙা হয় কয়েকটি কক্ষের দরজা-জানালা ও এসি। এ সময় অফিসের গোডাউনে থাকা চার বস্তা সরকারি চাল ও তিন বস্তা কম্বল নিয়ে যায় হামলাকারীরা।</p> <p style="text-align: justify;">ওরা সিসিটিভি ভাঙচুর করে যন্ত্রাংশগুলোও নিয়ে যায়। হামলায় চেয়ারম্যানসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। চেয়ারম্যানের দাবি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সব মিলিয়ে কোটি টাকার বেশি। ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর মাস্টারের অভিযোগ, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (কেটলি) শাহজাহান ভূঁইয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন তিনি। সেই ক্ষোভ থেকে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল এবং তাঁর ভাই মিজানের ভাড়াটে ক্যাডাররা এই হামলা চালিয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">এদিকে গতকাল সন্ধ্যার দিকে চেয়ারম্যানের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক ইন্টেলিজেন্ট) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, বেআইনিভাবে জনসমাগম, জখম, হামলা ও অগ্নিসংযোগের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা হয়েছে। ওসি তদন্ত জুবায়ের আহমেদসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।</p> <article> <p style="text-align: justify;"><img alt="৪৪ জনকে আসামি করে মামলা" height="206" src="https://www.kalerkantho.com/_next/image?url=https%3A%2F%2Fcdn.kalerkantho.com%2Fpublic%2Fnews_images%2F2024%2F01%2F19%2F1705607513-fbe7f6bf822322db87d3d9a4f684d349.jpg&w=1920&q=100" style="float:left" width="344" /></p> <p style="text-align: justify;">দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ওরফে জাহাঙ্গীর মাস্টার জানান, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিক ও মিজানের নেতৃত্বে আব্দুস সাত্তার, রফিকুল ইসলাম, সোহেলসহ দুই শতাধিক লোক এ হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ৪৪ জনকে শনাক্ত করে নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি। এখনো এলাকার ত্রাস (রফিক ও মিজান) নানাভাবে লোক মারফতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।</p> <p style="text-align: justify;">চেয়ারম্যানসহ অন্য ভুক্তভোগীরা বলছেন, রফিক ও তাঁর সন্ত্রাসী ভাই মিজান সরাসরি উপস্থিত না থেকে নির্দেশনা দেন। তাঁদের নির্দেশনায় ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছে। মূলত হামলা চালানোর সময়ে কারো ধারণকৃত ভিডিওতে যেন তারা না আসে, সে জন্য আড়ালে থেকে এই নির্দেশনা দেন।</p> <p style="text-align: justify;">ঘটনার মূলহোতা রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ও তাঁর  ভাই মিজানকে কেন মামলার আসামি উল্লেখ করেননি—এমন প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান বলেন, ‘তাঁকে আসামি করলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। তাই ভয়ে-আতঙ্কে আসামি করিনি। এমনিতেই ঘটনার পর থেকে তাঁদের হুমকিতে প্রাণনাশের ভয়ে আতঙ্কে আছি।’</p> </article>