<p>পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহ থাকার পরেও চট্টগ্রামে পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেড়েছে চালের দাম। পাইকারি বাজারে প্রতি মণে বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। </p> <p>আজ সোমবার দুপুরে নগরের পাহাড়তলী বাজারে চালের আড়তে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক ও  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় একটি আড়তের মালিককে লাইসেন্স প্রদর্শন করতে না পারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া একাধিক আড়তদারকে মজুদের ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।</p> <p>চালের বাজার অস্থির করার ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে চাল কল মালিক (মিলার) ও আড়তদারদের বিরুদ্ধে। মিলার ও আড়তদাররা বাজারে ধীরে ধীরে চাল ছাড়ছেন। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম হওয়ায় কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে, এতে বাড়ছে চালের দাম।</p> <p>সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা আজ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি। আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ব্যবসায়ী ছাড়াও অনেকেই ট্রেড লাইসেন্স বা লাইসেন্স ছাড়া ধান-চাল মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। এসব ব্যবসায়ীদের ধান-চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’ </p> <p>চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘মিলার ও আড়তদাররা যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে নজর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি চাল উৎপাদনশীল অঞ্চলগুলোতে চাল মজুদ এবং অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বেনামে চাল মজুদের ব্যাপারেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে। এ ছাড়াও সারা দেশে চালের কৃত্রিম সংকট মোকাবেলায় সমন্বয় সাধন চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি পাঠানো হবে।’</p>