<p style="text-align: justify;">আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোলার চারটি আসনে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন। জেলার চারটি আসনের ৫২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৩১টি কেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের দুর্গম ২৬টি কেন্দ্রে ভোটের আগের দিনই ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সব সরঞ্জাম পাঠানো হবে। বাকি ৫০০ কেন্দ্রে ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। তবে দুর্গম চরাঞ্চলের কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপারের সাথে আগের দিনই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ওই সব এলাকার দায়িত্বরত সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হবে। ব্যালট পেপারগুলো ম্যাজিস্ট্রেটের জিম্মায় সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ভোলা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান।</p> <p style="text-align: justify;">রিটার্নিং কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার চারটি আসনে মোট ৫২৬টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ভোলা-১ (সদর) আসনে ১১৪টি, ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনে ১৩৮টি, ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনে ১১৯টি ও ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে ১৫৫টি। চার আসনে মোট ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে ভোলা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ (নৌকা), জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া (লাঙল), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী মো. ছিদ্দিকুর রহমান (মশাল)। এ আসনে মোট ভোটারসংখ্যা তিন লাখ ৭৪ হাজার ৮১৪ জন।<br />  <br /> ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলী আজম মুকুল (নৌকা), জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রার্থী মো. গজনবী (বাইসাইকেল), বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান (ডাব) ও তরিকত ফেডারেশন প্রার্থী শাহেনশাহ মো. শামসুদ্দিন মিয়া (ফুলের মালা)। এ আসনে মোট ভোটারসংখ্যা তিন লাখ ৬৫ হাজার ৪৪০ জন। </p> <p style="text-align: justify;">ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন (নৌকা), জাতীয় পার্টি (জাপা) প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন (লাঙল), বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী মো. আলমগীর (ডাব) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন (ঈগল)। এ আসনে ভোটারসংখ্যা তিন লাখ ৫৯ হাজার ৮১৭ জন।<br />  <br /> ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (নৌকা), জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান (লাঙল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী মো. আলাউদ্দিন (আম), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. হানিফ (সোনালী আঁশ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল ফয়েজ (মাথাল)। এ আসনে মোট ভোটারসংখ্যা চার লাখ ৫৩ হাজার ৬৮১ জন।</p> <p style="text-align: justify;">ভোলার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান কালের কণ্ঠকে জানান, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়েছে। অবাদ, সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। জেলার চারটি আসনে ৫২৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২১৩টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দুইজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য থাকবেন। অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশের সংখ্যা তিনজন করে দেওয়া হয়েছে। </p> <p style="text-align: justify;">এ ছাড়া ভোটার যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন সে জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী মাঠে টহল দেবে। সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরাও মাঠে থাকবেন। এ ছাড়া ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের ২৬টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের আগের দিন ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হবে। সেই সাথে ওই সব চরাঞ্চলে দায়িত্বরত সব ম্যাজিস্ট্রেট ও টহল টিমগুলো আগের দিন থেকেই ওই এলাকায় অবস্থান করবে।</p>