<p style="text-align: justify;">চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোলাইমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর পক্ষে পটিয়া থানার ৯ জন পুলিশ সদস্য কাজ করছেন―এমন অভিযোগ করে তাঁদের প্রত্যাহার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) শনিবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী অবেদন করেন। এরপরই মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে তাকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব বুধবার কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । তিনি বলেন, পটিয়া থানার পরির্দশক তদন্তকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। <br />  <br /> নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আ. ক. ম. শামসুজ্জামান চৌধুরী জানান, নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগে পরিদর্শক তদন্তের বিরুদ্ধে ইসিসহ বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।  এরপরই তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। </p> <p style="text-align: justify;">এর আগে পটিয়া থানা থেকে এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) প্রত্যাহার করা হয়। তারও আগে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিনকে বদলি করা হয়েছিল।  </p> <p style="text-align: justify;">গত ৩০ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোলাইমান, এসআই সনজয় ঘোষ, মো. আসাদুর রহমান, রতন কান্তি দে, আকরাম হোসেন সুমন, শিমুল চন্দ্র দাস ও জিয়া উদ্দিন এবং এএসআই মো. ফয়েজ আহমদ ও এএসআই অনুপ কুমারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।</p> <p style="text-align: justify;">লিখিত অভিযোগে মোতাহেরুল বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর দূরসম্পর্কিত আত্মীয় নেজাম উদ্দিন পটিয়া থেকে চলে গেলেও বর্তমানে তাঁর অনুগত এসআই ও এএসআই এখনো স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভূমিকা রেখেছেন। তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ঘরে ঘরে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন।’</p> <p style="text-align: justify;">অভিযোগ আরো বলা হয়, গত ২১ ডিসেম্বর যুবলীগ নেতা ডি এম জমির উদ্দিনকে আইসিটি মামলায় জামিন থাকা সত্ত্বেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে বাদী আপসনামা দিয়ে মুক্ত হন। আদালত থেকে বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে পরিদর্শক তদন্ত মো. সোলাইমানের নির্দেশে সম্প্রতি কাশিয়াইশে একটি ঘটনার মামলায় এজাহারভুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও এসআই সনজয় ঘোষের নেতৃত্বে জমির উদ্দিনকে পুনরায় গ্রেপ্তার দেখায়। মিথ্যা একটি মামলায় কুসুমপুরা ইউনিয়নের নৌকার সমর্থক আবদুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।</p>