শেখ হাসিনার অপেক্ষায় কালকিনিবাসী

কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
শেখ হাসিনার অপেক্ষায় কালকিনিবাসী
কালকিনি উপজেলা সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠের মঞ্চে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: কালের কণ্ঠ

মাদারীপুরের কালকিনিতে নির্বাচনী জনসভায় আসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার বিকেল ৩টায় কালকিনির সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠের মঞ্চে জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। 

দলীয় সূত্র জানায়, মাদারীপুরের কালকিনিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগমন উপলক্ষে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষজন প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে এক নজর দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন।

 

দলীয় নেতাকর্মীরা জানায়, মাদারীপুর সদরের একাংশ, কালকিনি ও ডাসার উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-৩ সংসদীয় আসন। এই আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। 

অপরদিকে কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য স্বতন্ত্রপ্রার্থী (ঈগল) মোসা. তাহমিনা বেগম।

তাঁরা আরো জানায়, কালকিনির জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর বোন শেখ রেহানাও থাকার কথা রয়েছে। এই জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ। 

জনসভাটি সঞ্চালনা করবেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার মো. লোকমান হোসেন।

কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার মো. লোকমান হোসেন বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ।

এখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় আছি। 

মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সাদা পোশাকের পাশাপাশি থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তায় অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও কাজ করবেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পুলিশের মাথা ফাটাল তাহেরী ভক্তরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
পুলিশের মাথা ফাটাল তাহেরী ভক্তরা
ছবি : কালের কণ্ঠ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া গিয়াস উদ্দিন আদ তাহরীর মাহফিল থেকে পুলিশের ওপর আক্রমন হয়েছে। এতে বাবুল নামে এক এসআইয়ের মাথা ফেটে গেছে। তিনি আখাউড়া উেজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

আহত বাবুল জানান, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার নিলাখাদ এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিল চলছিল।

এতে ওয়াজ করছিলে গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। মাহফিল তাড়াতাড়ি শেষ করার কথা বলে তিনিসহ পুলিশ সদস্যরা চলে আসেন। এরই মধ্যে তাদের ওপর হামলা হয়।

মাহফিল থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, মাহফিলের অনুমতি না থাকার কথা বলে পুলিশ চলে আসে। এরই মধ্যে মাহফিল শেষ করা হয়। পরে কিশোরদের ছোঁড়া ঢিলে পুলিশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

মহাসড়ক উন্নয়নে ভাঙা পড়বে স্কুল, স্থানান্তরের দাবি

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
শেয়ার
মহাসড়ক উন্নয়নে ভাঙা পড়বে স্কুল, স্থানান্তরের দাবি
মামদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : কালের কণ্ঠ

মহাসড়ক প্রস্ততকরণের জন্য ভাঙা পড়বে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মামদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জমি অধিগ্রহণ শেষে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৬ লেনের কাজ চলমান রয়েছে। 

অভিযোগ উঠেছে, সড়কের পাশে থাকা স্কুলটি স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

জমি অধিগ্রহণে মাধ্যমে স্কুলের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য প্রধান শিক্ষক মনিরা বেগম সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। এরপরও স্থানান্তরের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। সড়কের ২০৯ কিলোমিটারের পাশে থাকা ৩৫টি প্রাইমারি স্কুল আছে।

যা ভূমি অধিগ্রহণের কারণে ভাঙা হবে। এই তালিকায় প্রথমে রয়েছে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত মামদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৩৯ সালে নির্মিত স্কুলটিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২১২ জন ও শিক্ষক আছেন ৭ জন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের প্রস্ততকরণের কাজ এগিয়ে চলছে।

যেকোনো সময় ওই স্কুলে উচ্ছেদ অভিযান হতে পারে। কিন্তু এখনও মামদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থানান্তরের কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সময় মতো জমি অধিগ্রহণসহ স্কুল পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

প্রধান শিক্ষক মনিরা বেগম কালের কণ্ঠকে জানান, স্কুলের পুরো ৩৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহণে চলে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্কুল স্থানান্তরের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

উচ্ছেদের আগেই অনুরূপ আরেকটি স্কুল নির্মাণ করতে হবে। আমরা চাই না শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হোক।

শরীফা বেগম জানান, আমার সন্তান এই স্কুলে পড়াশোনা করে। স্কুল উচ্ছেদের খবরে আমরা শঙ্কিত। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা যেন ক্ষতি না হয়, সেজন্য স্কুলটি স্থানান্তরের দাবি জানাই।

শফিকুল ইসলাম ও উজ্জ্বল মিয়া নামের প্রাক্তন দুই শিক্ষার্থী জানান, ভূমি অধিগ্রহণের পর স্কুল স্থানান্তরসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আমরা চাই উচ্ছেদের আগেই যেন এ ব্যাপারে দৃষ্টি দেওয়া হয়।

রায়পুরা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। স্কুলের জন্য জমি অধিগ্রহণ ও পুনঃনির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাশ চলবে। এর আগে স্কুল ভাঙতে দেওয়া হবে না। সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রকৌশলীকে এ ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
 

মন্তব্য
ভুয়া এনজিও

কোটি টাকা হাতিয়ে নিল যেভাবে

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
শেয়ার
কোটি টাকা হাতিয়ে নিল যেভাবে
ভুয়া এনজিও স্বপ্নডানার সদস্য ফরম। ছবি : কালের কণ্ঠ

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় খ্রিষ্টান ধর্মীয় অনুভূতি ব্যবহার করে এনজিও খুলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রায় দুই হাজার দরিদ্র পরিবার প্রতারণার শিকার হয়েছে। 

এনজিওটির পরিচালক পরিচয় দিয়ে চার উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রামে কর্মী নিয়োগ দেন। প্রত্যেক সদস্যকে ২০ হাজার টাকায় আধাপাকা ঘর এবং দুই হাজার টাকা জমা দিলে প্রতি তিন মাস পর পর চাল, ডাল, আটা, চিনি ও তৈল দেওয়ার প্রলোভন দেখান তারা।

এভাবে দরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গা-ঢাকা দিয়েছেন এনজিওটির পরিচালক সায়মন বিশ্বাস।

এই কাজে খুলনা বিভাগীয় প্রধান মেরী বিশ্বাস, বরিশাল বিভাগীয় প্রধান রির্চাড রায় এলিও ও তার স্ত্রী বিউটি সরকার সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা ধর্মীয় অনুভূতি ব্যবহার করে মানুষের মনে বিশ্বাস অর্জনে মরান্দিরপাড় পিরাতিক গির্জায় সভা করেন তারা। সদস্য কার্ডে যিশু খ্রিস্টের ছবি ব্যবহার এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৯৮৬ লেখা রয়েছে।

প্রতিদিন মাঠকর্মীদের বাড়িতে টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিচ্ছেন সদস্যরা।

মাঠকর্মী ও সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাগধা ইউনিয়নের মরান্দিরপাড় গ্রামের চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর স্বপ্নডানা নামের একটি এনজিওর কার্যক্রম শুরু করেন পরিচালক সায়মন বিশ্বাস, খুলনা বিভাগীয় প্রধান মেরী বিশ্বাস, বরিশাল বিভাগীয় প্রধান রির্চাড রায় এলিও ও তার স্ত্রী বিউটি সরকার। তারা ওই এনজিওর মাঠকর্মী হিসেবে আবেদনপত্র জমা নিলেও নিয়োগ দেননি জন মার্টিন রায়, মিতালী সরকার, রিনা রায়, পিন্টু সমদ্দার, রিনা বৈজ্ঞব, তৃজ্ঞা হুর, নিত্যনন্দা বাড়ৈকে। 

তাদের মৌখিক নির্দেশে মরান্দিপাড়, ছবিখারপাড়, আস্কর, জোবারপাড়, স্বরবাড়ি, নাঘিরপাড়, বড়মগরা, বাগধা, বাকাল, কোটালীপাড়া উপজেলার নারকেলবাড়ি, পীরেরপাড়, গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ও উজিরপুর উপজেলার পটিবাড়ি, ইন্দুরকানী, কুড়ালিয়া গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার ২২৯ জন সদস্যের কাছ থেকে আধাপাকা ঘর দেওয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা এবং চাল, ডাল, আটা, চিনি ও তেল দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ১৫৩২ জন সদস্যের কাছ থেকে ২০৪০ টাকা করে উত্তোলন করেন মাঠকর্মীরা।

মাঠকর্মীদের উত্তোলন করা প্রায় কোটি টাকা মাঠকর্মী রিনা রায় ও তার ছেলে ম্যাথিউ রায় বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে সায়মন বিশ্বাসের কাছে পাঠান। সদস্যদের মাঝে নভেম্বর মাসের শেষে দিকে ঘর ও খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার কথা থাকলেও এনজিওর কথিত পরিচালক সরেজমিন না আসায় মাঠকর্মীদের সন্দেহ হয়। বারবার যোগাযোগ করার পর পরিচালক মাঠকর্মীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। 

এনজিও সদস্য জোবারপাড় গ্রামের অতুল বালার স্ত্রী গোলাপী বালা জানান, 'ঘর বাবদ ২০ হাজার ও খাদ্য সামগ্রী বাবদ দুই হাজার ৪০ টাকা এনজিওর মাঠকর্মী মিতালী সরকারের কাছে দিয়েছি।'

কুড়ালিয়া গ্রামের সন্টু বাড়ৈর স্ত্রী আলোমতি বাড়ৈ ও জেবারপাড় গ্রামের সুশান্ত বালার স্ত্রী সঞ্জিতা বালার কাছ থেকেও ঘর ও খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার কথা বলে মাঠকর্মীরা টাকা নিয়েছেন।

মাঠকর্মী রিনা রায় বলেন, 'মেরী বিশ্বাস, রির্চাড রায় এলিও ও তার স্ত্রী বিউটি সরকার আগৈলঝাড়ায় এসে খ্রিষ্টানদের গির্জায় সভা করেন। স্বপ্নডানা নামে এনজিওর কার্ডে যিশু খ্রিস্টের ছবিসহ রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৯৮৬ সদস্য কার্ড দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতি ব্যবহার করে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে প্রতারণা করেন তারা। আমাকে মৌখিকভাবে কর্মী হিসেবে নির্দেশ দিলে আমি ২৫০ জন সদস্যদের কাছ থেকে ১৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা তুলে সায়মন বিশ্বাসের বিভিন্ন বিকাশ নম্বরে পাঠিয়েছি।'

মাঠকর্মী জন রায় জানান, '৪৯৮ জন সদস্যের কাছ থেকে ২৫ লাখ দুই হাজার টাকা তুলে সায়মন বিশ্বাসের বিভিন্ন বিকাশ নম্বরে পাঠিয়েছি।'

মাঠকর্মী নিত্যনন্দা বাড়ৈ সাংবাদিকদের বলেন, '১১৪ জন সদস্যের কাছ থেকে উত্তোলন করা টাকা মেরী বিশ্বাসের নির্দেশে এনজিওর পরিচালক সায়মন বিশ্বাসের কাছে তিনটি বিকাশ নম্বরের পাঠিয়েছি।'

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা বলেন, এনজিওটি কোনো রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই। যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে ওই নম্বরটি ভুয়া। উত্তোলন করা টাকা মাঠকর্মীদের ১০ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভুয়া এনজিও স্বপ্নডানার খুলনা বিভাগীয় প্রধান মেরী বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি না বুঝে খুলনার দায়িত্ব নিয়ে ৪০০ সদস্যের কাছ থেকে টাকা তুলে এনজিওর পরিচালক সায়মন বিশাসকে দিয়ে আমি নিজেও প্রতারণার শিকার হয়েছি।' 

এনজিওর পরিচালক সায়মন বিশ্বাসের নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

মন্তব্য

প্রত্যাহারের পর ইউএনও থেকে এডিসি হলেন সেই কর্মকর্তা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রত্যাহারের পর ইউএনও থেকে এডিসি হলেন সেই কর্মকর্তা
আল মামুন।

‘আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে’ বলে মন্তব্য করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যাহার হওয়া ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুনকে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের এক অফিস আদেশের চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখের প্রজ্ঞাপনমূলে ইউএনও আল মামুনকে গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নিমিত্ত ১১ ডিসেম্বর অপরাহ্নে বর্তমান কর্মস্থল হতে অবমুক্ত করা হলো।

তিনি তাঁর দায়িত্ব সদরপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিনের নিকট হস্তান্তর করবেন।  

জানা যায়, গত বুধবার আল মামুনের বিরুদ্ধে ‘আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে’ বলে মন্তব্য করার অভিযোগ তোলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ওই দিন দুপুরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় এ অভিযোগ ওঠার পর ইউএনওকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান।

আরো পড়ুন
যে কবিতা লিখে ছাত্রবস্থায় তারকাখ্যাতি পেয়েছিলেন হেলাল হাফিজ

যে কবিতা লিখে ছাত্রবস্থায় তারকাখ্যাতি পেয়েছিলেন হেলাল হাফিজ

 

যদিও আল মামুন ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তিনি পরে জানিয়েছিলেন, ‘গত ৩০ নভেম্বর সদরপুর উপজেলা সম্মেলন কক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওখানে ছাত্রদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাও উপস্থিত ছিলন। তাঁরা সবাই জানেন আমি এ জাতীয় কোনো কথা বলিনি। কেন ওই ছাত্রনেতা (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান) আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন, তা আমার বোধগম্য নয়।

এ বিষয়ে শুক্রবার আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সদরপুরের ইউএনওর পদ থেকে অবমুক্ত করা সংক্রান্ত আদেশ বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে পেয়েছি। চিঠিটি গত বুধবারের তারিখে স্বাক্ষর করা ছিল। আজ রাতে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা দেব।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ