<p>আশুলিয়ায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে খুন হন শাহাদাত খান। এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪। পরে তাকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব ৪ সিপিসি ২ এর কম্পানী কমান্ডার লে কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান। </p> <p>এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি হলেন, আশুলিয়ার ভাদাইল মধ্যপাড়া এলাকার মো. আক্তার হোসেন (৩৫)। আক্তারের বন্ধু নিহত ব্যক্তি মো. শাহাদাৎ খান (৩৮) স্থানীয় হাবিব খানের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়।<br />  <br /> মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত আক্তারের কাছে শাহাদাৎ ধারের ৫ লাখ টাকা পেতেন। প্রায় টাকার জন্য চাপ দিতেন তিনি। পরে চলতি বছরের ২৪ জুন দুপুর দেড়টার দিকে টাকা ফেরত দিবে বলে শাহাদাৎকে বাড়ি থেকে ফোন করে ডেকে নেয় আক্তার। <br /> পরে ভাদাইল তিন বন্ধুর মোড় এলাকায় পৌছলে তার উপর অতর্কিত হামলা করে আক্তার হোসেন ও তার ৫-৬ জন সহযোগী। শাহাদাৎকে বেধরক মারধর করে পালিয়ে যায় তারা। লোহার রডের আঘাতে তার মাথার খুলি ভেঙ্গে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার।</p> <p>এ ঘটনায় ২৭ জুন আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোসা. মানসুরা আক্তার। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর মারা যান শাহাদাৎ খান।</p> <p>শাহাদাৎ খানের স্ত্রী মানসুরা আক্তার বলেন, ‘দুই ছেলে মেরাজ (৫) ও ওমর ফারুককে (২) নিয়ে আমি চরম বিপদে পড়েছি। ছোট বাচ্চাদুটোর ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার। শাহাদাৎ ও আক্তার দুজনে একসাথেই চলাফেরা করত। তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। তারা একসাথে এলাকা থেকে ময়লা ফেলার ব্যবসাও করেছে। কিন্তু কি এমন হয়েছিল যে এমন ভাবে আমার স্বামীকে মারলো তা এখনও জানিনা। আমরা এর বিচার চাই।’</p> <p>নিহতের বাবা হাবিব খান বলেন, ‘সেদিন আমার ছেলেকে মেরে আমাকে ও আমার শালাকে ডাক দিয়ে আক্তার বলেছিল যে, আমার ছেলেকে মেরেছে। আমার মোবাইলটিও কেড়ে নিয়ে গেছিল। আমরা ওর শাস্তি চাই।’</p> <p>মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল মোল্লা বলেন, র‍্যাব আসামিকে থানায় হস্তান্তর করেছে। আগামীকাল তাকে আদালতে পাঠানো হবে।  </p> <p>র‍্যাব ৪ সিপিসি ২ এর কম্পানী কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল আক্তার হোসেন। অবশেষে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে আক্তার।</p>