<p>টঙ্গী-গাজীপুর নিয়ে গঠিত ১৯৫ গাজীপুর-২ আসন। এই আসনে নৌকা প্রতীকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চান গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম। ইতিমধ্যে সাইফুল ইসলাম দলীয় মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়েছেন।</p> <p>১৯ নভেম্বর টঙ্গীর চেরাগআলী ট্রাক স্ট্যান্ডে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি গাজীপুর-২ আসনে জাতীয় নির্বাচন করতে প্রার্থী পরিবর্তনের আহ্বান জানান। সমাবেশ মঞ্চে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীর আলমও একই সুরে কথা বলেন।</p> <p>আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, তিনি দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি আশা করেন, দল তাকে মনোনয়ন দেবে। তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।</p> <p>২০১৮ সালে, ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটির দুটি নির্বাচনে তিনি মেয়র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কার আদেশের পর সাইফুল ইসলাম প্রতিমন্ত্রী ব্লকে ছিলেন। জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর তিনি জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে একই মঞ্চে বক্তব্য দিয়ে প্রতিমন্ত্রী রাসেলের সংসদীয় আসনে নৌকার প্রার্থীর পরিবর্তন দাবি করেন।</p> <p>২০ নভেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গীতে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, অনেক যোগ্য প্রার্থী আছেন। যে কেউ মনোনয়ন চাইতে পারেন। আমি আশা করি, নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন। তিনি কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকার দাবি জানান।</p> <p>এদিকে গাজীপুর-২ (সদর-টঙ্গী)  আসনে এখন পর্যন্ত নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল, অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ও সাইফুল ইসলাম।</p> <p>অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যে দুটি গ্রুপ বিদ্যমান। সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। রাসেল গ্রুপে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডলসহ বেশ কিছু হেভিওয়েট নেতা। এর মধ্যে একই গ্রুপে জাহিদ আহসান রাসেল ও অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।</p> <p>গাজীপুর আসনে মোট ভোটার সাত লাখ ৭৮ হাজার ৯৯০ জন। পুরুষ ভোটার তিন লাখ ৯১ হাজার ৩৪ জন। নারী ভোটার তিন লাখ ৮৭ হাজার ৯৫৬ জন। এর মধ্যে টঙ্গীর প্রায় অর্ধেক ভোটার।</p>