<p>ফরিদপুরের সালথায় দুটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যাবহারিক পরীক্ষার নামে টাকা আদায় ও খাতা বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নে অবস্থিত নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও সালথা সরকারি কলেজের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এই অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।</p> <p>নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আইসিটির মোট ২২০ জন পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে, ভূগোলে মোট ১৬০ জন পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে, বিজ্ঞান বিভাগের চার বিষয়ের ৬৭ পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে, হোম ইকোনমিকসের মোট ৬০ জন পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। </p> <p>পরীক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করেন, কলেজ অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমানের নির্দেশে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকরা প্রতি বিষয়ের ব্যাবহারিক খাতা ও ব্যাবহারিক পরীক্ষা বাবদ এসব টাকা আদায় করেছেন। টাকা না দিলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।</p> <p>নবকাম কলেজ পরিচালনা পর্ষদ কমিটির সদস্য কাজী কামরুজ্জামান জানান, বোর্ডের নির্দেশনা অমান্য করে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে এবং  পরীক্ষার সময় বোর্ডের নিয়োগকৃত এক্সটারনাল ও ইন্টারনাল কেউ উপস্থিত ছিলেন না।</p> <p>নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান টাকা আদায়ের বিষয় স্বীকার করে বলেন, ‘টাকা তো এবার নতুন নেওয়া হয়নি। প্রতিবছরই নেওয়া হয়। সব কলেজেই নেয়। কারণ পরীক্ষার দিন খরচ হয়।’</p> <p>এদিকে সালথা সরকারি কলেজের ব্যাবহারিক পরীক্ষায় একই অভিযোগ উঠেছে। তবে টাকা আদায়ের বিষয় অস্বীকার করেছেন সালথা কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্ণচন্দ্র বর্মন।</p> <p>সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, ‘এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>