<p>টঙ্গীর এরশাদ নগরের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর শরীফ হোসেন রিফাত (২২) নামে এক পাঠাও চালকের লাশ তুরাগ নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।</p> <p>আজ মঙ্গলবার বিকেলে তুরাগ নদীর পলাশোনা এলাকা থেকে রিফাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রিফাত এরশাদ নগর দুই নম্বর ব্লকের বাসিন্দা ফারুক মিয়ার ছেলে।</p> <p>নিহতের বাবা ফারুক মিয়া বলেন, 'সোমবার (৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় টঙ্গীর এরশাদ নগর ২ নম্বর ব্লক এলাকা থেকে একই এলাকার কাজল ও সোহাগ বাসায় এসে রিফাতকে ডেকে নেয়। পরে রিফাতকে বলে গাছা থানার পলাশোনা এলাকায় যেতে হবে। রিফাত তাদের কথায় তাদের সাথে বাসা থেকে বের হয়। রাতে কাজল ও সোহাগ বাসায় আসলেও রিফাত আর বাসায় ফেরেনি।'</p> <p>তিনি আরো বলেন, 'আজ মঙ্গলবার দিনভর খোঁজাখুঁজি করেও রিফাতকে পাইনি। ওর মোটরসাইকেলে লাগানো জিপিআরএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে গাছা থানার পলাশোনা এলাকায় মোটরসাইকেলটি আছে জানা যায়। পলাশোনা এলাকায় লোক পাঠিয়ে মোটরসাইকেল পাওয়া যায় কিন্তু রিফাতকে আর পাইনি। ওই দুইজন আমার ছেলে রিফাতকে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।</p> <p>গাছা থানার ওসি মো. ইব্রাহীম হোসেন বলেন, 'খবর পাওয়ার পর গাছা থানার পুলিশ খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে ফায়ায় বিগ্রেডের লোকজনের সহযোগিতায় বিকেলে নদীর মাঝখান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নৌ পুলিশের সদস্যরা বিষয়টি জানা পর তারাও আসে। নিহত রিফাতের পরিবারের লোকজন তার পরিচয় শনাক্তের পর ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।' নৌ<br /> পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।</p> <p>এলাকাবাসীবাসীর জানায়, রিফাত খুবই ভালো ছেলে। তার বাবা অসুস্থ মানুষ। কিডনি ও হার্টের সমস্যা আছে। রিফাত মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসার চালাত। কাজল ও সোহাগ সন্ত্রাসী। মাদক ব্যবসা ও সেবনসহ চুরি ছিনতাই করে থাকে তারা। তাদের অত্যাচারে মানুষ শান্তিতে থাকতে পারত না। কাজল ও সোহগের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান তারা।</p>