<p>টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাহমিনা তাবাসতুমের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা চেয়ে পরিবার কল্যাণ সহকারীরা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক প্রশাসন, ভূঞাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগের অনুলিপি জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।</p> <p>লিখিত অভিযোগ ও পরিবার কল্যাণ সহকারীরা জানান, ভূঞাপুর উপজেলায় পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে ৩১ জন দায়িত্ব পালন করছেন। তাহমিনা তাবাসতুম ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর থেকে ভূঞাপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন। তিনি যোগদানের পর থেকে পরিবার পরিকল্পনা অফিস ও উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস এবং অডিট খরচের নামে মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীদের সঙ্গে নানাভাবে আর্থিক দুর্নীতি করছেন। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত দুর্ব্যবহারও করেন। গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের পরিবার কল্যাণ সহকারীদের উঠান বৈঠকের বিল প্রতিজনের এক হাজার ২০০ টাকা পাওনা থাকা সত্ত্বেও তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ছয় মাসের পরিবার কল্যাণ সহকারীদের স্টেশনারির বিভিন্ন মালামাল এবং ফটোকপি বাবদ জনপ্রতি ৫০০ টাকা পাওনা থাকা সত্ত্বেও তা দেননি। এ বিষয়ে বারবার তার সাথে কথা বলার পরও বিল হবে না বলে জানিয়ে দেন। </p> <p>ভুক্তভোগীদের আরো অভিযোগ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উপজেলায় যোগদানের পর থেকে মাঠ কর্মচারীদের ভ্রমণভাতা থেকে ৪০-৫০ শতাংশ টাকা আদায় এবং অন্যান্য সব ভাতা থেকে বাড়তি মোটা অঙ্কের উৎকোচ জোরপূর্বক আদায় করেন। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে চারজন অফিস সহকারী থাকা সত্ত্বেও ফলদা ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রেজাউল করিমকে উপজেলায় দাপ্তরিক কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ অজুহাতে তার নিজ কর্ম এলাকায় নিয়মিত না গিয়ে বেশির ভাগ সময় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে অবস্থান করে থাকেন। </p> <p>পরিবার কল্যাণ সহকারী নাজমিন নাহার ও আয়শা সিদ্দিকী বলেন, আমাদের পাওনা টাকা বুঝে পাওয়াসহ সম্মানের সাথে চাকরি করতে চাই। আমার অনেক বয়স হয়েছে। তিনি উল্টাপাল্টা কথা বলে থাকেন। ফলে আমরা বিব্রত হই। আমরা এর বিচার দাবি করছি। </p> <p>অভিযোগের বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তাহমিনা তাবাসতুম কালের কণ্ঠকে বলেন, তাদের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের বিল বাদ রয়েছে। এ ছাড়া দুর্ব্যবহারসহ যত অভিযোগ রয়েছে সবই মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি উল্টো পরিবার কল্যাণ সহকারীদের ওপর দোষ চাপিয়ে বলেন, তাদের অনেকেই স্টেশনে থাকেন না। যথাযথ দায়িত্বও পালন করেন না। </p> <p>টাঙ্গাইল জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আইভি ইয়াছমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত  প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>