<p>নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে মঙ্গলবার (৩০ মে) একটি রেস্তোরাঁর বাবুর্চি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া রেস্তোরাঁটির আরো চার কর্মী আহত হয়েছেন।</p> <p>গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ বিল্লাল হোসেনকে (৪৫) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।</p> <p>প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানায়, বিকেলে বরপা বাসস্ট্যান্ডে ছাত্রলীগের কর্মী সিফাতের মোটরসাইকেলের সঙ্গে শ্রমিক লীগের নেতা মোহাম্মদ আলীর প্রাইভেট কারের ধাক্কা লাগে। এতে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় মোহাম্মদ আলীর পক্ষে পৌর যুবলীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ সাউদ এবং সিফাতের পক্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজির আহমেদের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।</p> <p>প্রিন্স রেস্তোরাঁর মালিক মো. নাদিম জানান, বিকেলে রেস্তোরাঁয় রান্না করছিলেন বাবুর্চি বিল্লাল। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি রেস্তোরাঁয় ঢুকে এক যুবককে মারধর শুরু করেন। সেখান থেকে দৌড়ে রান্নাঘরে ঢুকে পড়েন ওই যুবক। তখন হামলাকারীরা সেখানে ঢুকে গুলি চালায়। এ সময় বিল্লাল গুলিবিদ্ধ হন এবং রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপকসহ চার কর্মী আহত হন।</p> <p>স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, সাধারণ বিষয় নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এই দুই পক্ষ। তাদের কারণে আতঙ্কে দিন কাটাতে হয়।</p> <p>পৌর যুবলীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ সাউদ বলেন, ‘সিফাতের বাইকের সঙ্গে মোহাম্মদ আলীর প্রাইভেট কারের ধাক্কা লাগে। খবর পেয়ে আমি মীমাংসার চেষ্টা করি। এ সময় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজিরের লোকজন হামলা চালায়।’</p> <p>উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজির আহমেদ রিয়াজের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর মন্তব্য জানা যায়নি।</p> <p>ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, বিল্লালের কোমরে একটি গুলি লেগেছে। এখন তিনি আশঙ্কামুক্ত।</p> <p>রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>