<p>কক্সবাজার সৈকতে ফের ভেসে এল শত শত মৃত জেলিফিশ। বুধবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের কলাতলী পয়েন্ট সৈকতে সামুদ্রিক জোয়ারের সঙ্গে এসব মরা জেলিফিশ ভেসে আসে। এর আগে গত বছরের বিভিন্ন সময়েও এভাবে শত শত মরা জেলিফিশ ভেসে আসতে দেখা যায়।  </p> <p>জেলা প্রশাসন পরিচালিত বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি নিয়োজিত বীচ কর্মীরা জানিয়েছেন, তবে বুধবার সন্ধ্যায় ভেসে আসা জেলিফিশের সংখ্যা অনেক বেশি এবং সাইজেও বড় আকৃতির। এবার ভেসে আসা জেলিফিশের জাতটি ভিন্ন বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।</p> <p>তিনি সংবাদকর্মীদের জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের কলাতলী পয়েন্ট সৈকতে ফের জেলিফিশ ভেসে আসার খবর পেয়ে বোরি’র কুইক রেসপন্স টিমের বিজ্ঞানীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা সেখানে গিয়ে জেলিফিশের প্রজাতি শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন। কক্সবাজার সৈকতে এবারই প্রথম এই জাতের জেলিফিশ ভেসে আসতে দেখা যায়। এর আগে পটুয়াখালীতেও এই জাতের জেলিফিশ ভেসে আসার খবর পাওয়া গিয়েছিল।</p> <p>প্রত্যক্ষদর্শী জেলা প্রশাসনের বীচকর্মী মাহবুব আলম জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সামুদ্রিক জোয়ারের পানিতে হঠাৎ শত শত মরা জেলিফিশ ভেসে আসতে দেখা যায়। এর আগে গত বছর ৩ ও ৪ আগস্ট, ১১ ও ১৩ নভেম্বর এবং ৩ ডিসেম্বরও এভাবে শত শত মরা জেলিফিশ ভেসে আসে। জেলিফিশ স্থানীয়ভাবে ‘নুইন্না’ নামে পরিচিত। এটি খাদ্য ছাড়াও ওষুধ ও প্রশাসন তৈরিতে ব্যবহৃত হয় বলে জানান সামুদ্রিক বিজ্ঞানীরা।</p>