<p>আবাসিক হোটেল। তবে হোটেলটি মানুষ থাকার জন্য নয়, গরু রাখার জন্য। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু বেচাকেনা করতে আসা ব্যবসায়ীরা স্বল্প ভাড়া ও নিরাপত্তার কারণে এখানে তাঁদের গরু রাখেন। হোটেলটির নাম ‘গরুর আবাসিক হোটেল’।</p> <p>রংপুরের মডার্ন মোড় ধর্মদাস এলাকায় হোটেলটির অবস্থান। এখানে আপাতত ১০০ গরু রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। দিনপ্রতি ভাড়া ৬০ টাকা। গরু দেখাশোনার জন্য রয়েছে চার-পাঁচজন কর্মচারীও। </p> <p>ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রংপুরের হাটগুলোতে পাইকারি ব্যবসায়ীরা গরু কিনতে আসেন। অনেক ব্যবসায়ীকে চাহিদামাফিক গরু কেনার জন্য কয়েক দিন অবস্থানও করতে হয়। তখন গরু রাখার জায়গা না থাকায় তাঁদের বিপাকে পড়তে হতো। ব্যবসায়ীরা নিজ গন্তব্যে রওনা হওয়ার আগ পর্যন্ত হোটেলটিতে তাঁদের গরু রাখেন। এখানে ছাগল রাখার জন্যও আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। </p> <p>গরু ব্যবসায়ী সুমন মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, এখানে গরু রেখে অনেকটা নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। চুরি বা ডাকাতিরও ভয় নেই। </p> <p>স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন ও আসানুর রহমান নামের দুই ব্যক্তি হোটেলটি গড়ে তুলেছেন। ভবিষ্যতে এখানে এক হাজারটি গরু রাখার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।</p> <p>রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিরাজুল হক জানান, এটি ভালো উদ্যোগ। গরু বেচাকেনা করতে আসা ব্যক্তিরা এতে উপকৃত হচ্ছেন।</p>