<p>মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের সাজসজ্জায় বেলুনের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় কনডম। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচিত হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।</p> <p>এ ঘটনায় গতকাল শনিবার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ রেজাউল করিমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।</p> <p>জানা গেছে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কক্ষ, করিডর, বারান্দায় সৌন্দর্য বৃদ্ধির নির্দেশ দেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস সোবাহান। কথা ছিল হাসপাতালের প্রধান ফটক ও জরুরি বিভাগের পুরো কক্ষে ফুল ও বেলুন দিয়ে সাজানো হবে। কিন্তু হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানের রঙিন বেলুনের পাশাপাশি সরকারি জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ (কনডম) ব্যবহার করা হয়। </p> <p>সৌন্দর্য বৃদ্ধির নামে হাসপাতালের এমন কাণ্ডের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ।</p> <p>বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে থাকি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন কাজ কোনোভাবেই কাম্য নয়।’</p> <p>যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিজয় দিবসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওই কর্মকাণ্ডে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’</p> <p>হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস সোবাহান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রথমেই এ ঘটনায় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। দায়িত্বরত একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চার সদস্য কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলেই জড়িতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>