<p>ভোলায় পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সদর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আলী হায়দার কামালের আদালতে এ মামলা করেন নিহত ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমের স্ত্রী ইফফাত জাহান।</p> <p>এর আগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় তার স্ত্রী বিবি খাদিজা বাদী হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মোট দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।</p> <p>মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম বাসেত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, গত ৩১ জুলাই বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশব্যাপী তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম। এ সময় সংঘর্ষে নূরে আলম পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বরিশাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয় নূরে আলমকে। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিন দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তার মৃত্যু হয়।</p> <p>উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুয়ায়ী তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে ১০ পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম ও জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলম নিহত হন। এ ঘটনায় গত ৪ আগস্ট নিহত আব্দুর রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে আদালতে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান হোসেনসহ ৩৬ পুলিশ সদস্যের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে ভোলায় পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও আবদুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২৫০-৩০০ জনের নামে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।</p>