এক তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টাকালে আটক হন নিজেকে ধামরাইয়ের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া আলাল হোসেন সজিব। এর পরই তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, হাতে মদের বোতল নিয়ে গান করছেন তিনি। এলাকাবাসী তরুণীসহ আলালকে আটক করলে পুলিশ গিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে।
বিজ্ঞাপন
আটককৃত আলাল হোসেন সজীব ধামরাইয়ের টোপেরবাড়ি এলাকার আওলাদ হোসেনের ছেলে। তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বুধবার আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আলাল নিজেকে ধামরাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এবং সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উপজেলার আনাচ-কানাচে দাপিয়ে বেড়াতেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আলাল ধামরাইয়ের লাড়য়াকুণ্ড এলাকার এক তরুণীকে বাসা ভাড়া করে দেওয়ার কথা বলে পৌরসভার বাগনগর মডেল টাউনের প্রয়াত পুলিশ কর্মকর্তা দবির উদ্দিনের বাসার তৃতীয় তলায় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তরুণীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে তরুণীসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আলাল হোসেন সজিবকে আটক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ৯টার দিকে জনতার রোষানল থেকে তাদের উদ্ধার করে। এ সময় তার ব্যবহৃত দামি একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করে পুলিশ। মোটরসাইকেলের সামনে ইংরেজিতে 'প্রেস' লেখা ছিল।
এদিকে, গ্রেপ্তার হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে, আলাল হোসেন সজিব একটি মদের বোতল নিয়ে গান করছেন। ১৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। তিনি নিজের মোটরসাইকেলে 'প্রেস' লিখে এবং নিজের ফেসবুকে দৈনিক বাংলাদেশের আলো, দৈনিক পর্যবেক্ষণ, দৈনিক বাংলা বার্তা, দৈনিক বর্তমান দিন পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবেও এলাকায় পরিচয় দিতেন। এ ছাড়া তার কাছে ধামরাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগ কুশুরা লেখা একটি ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যায়।
তবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী জানিয়েছেন, বর্তমান কমিটিতে আলাল হোসেন সজিবের নাম নেই। আগের কমিটিতে ছিল, সে বেয়াদব।
ধামরাই থানার ওসি (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস বলেন, এলাকাবাসী ধামরাই মডেল টাউনের এক বাসা থেকে আলাল হোসেন সজিবকে তরুণীসহ আটকের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে রাতে ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।