<p>বরগুনার আমতলীতে প্রবাসীর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। গত আট দিনেও ওই স্কুলছাত্রীর কোনো সন্ধান না পেয়ে তার মা বাদী হয়ে গতকাল রবিবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। মায়ের অভিযোগ, তার মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণ করা হতে পারে কিংবা তাকে মেরেও ফেলা হতে পারে। তার কোনো খোঁজ আমরা পাচ্ছি না।</p> <p>ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আনিসুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। </p> <p>মামলায় আসামিরা হলেন- বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে রুহুল আমীন মুন্সীর পুত্র মো. মিরাজ মুন্সী (২০), বরগুনা সদর উপজেলার পুরাকাটা গ্রামের শাহজাহান সিকদারের পুত্র মো. শহিদুল সিকদার (৩৫) ও মিরাজ মুন্সীর মা রুনা বেগম।</p> <p>মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদীর স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী। বাদী তার দুই সন্তানকে নিয়ে নিজের বাড়িতে বসবাস করেন। তার মেয়ে আমতলীর একটি বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। তার স্কুলে যাওয়া-আসার পথে আসামি মিরাজ মুন্সী দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছেন। একপর্যায়ে মেয়েটি তার মায়ের কাছে এসব ঘটনা খুলে বলে। এতে মিরাজ মুন্সী প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ জুন সকাল অনুমান ৯টার দিকে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যান মিরাজ। মেয়েটি ওইসময় বিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়ে রাওঘা ইটের সলিং রাস্তায় পৌঁছলে সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা মিরাজ স্কুলছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে তার দুলাভাই মো. শহিদুল সিকদারের বাড়িতে নিয়ে যান। এসময় মো. সোহেল নামের একজন ঘটনাটি দেখে ফেলেন। </p> <p>বাদী বলেন, সোহেল আমাকে জানায়, আসামিরা আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মিরাজ মুন্সীর মা রুনা বেগমের কাছে আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। তারা আমার অনুরোধে সাড়া দেননি। আমার আশঙ্কা,  মিরাজ আমার মেয়েকে অপহরণ করে কোথাও আটক রেখে ধর্ষণ করেছে। অথবা অপহরণের পর ধর্ষণ করে বিদেশে পাচার করতে পারে। আবার এমনও হতে পারে, আমার মেয়েকে সকল আসামিরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করতে পারে। আমরা ৮ দিন ধরে খুঁজেও মেয়েকে পাইনি। আসামিদের কাছেই আমার মেয়ে আছে। </p> <p>তিনি আরো বলেন, গত ২৯ জুন আমতলী থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। </p> <p>আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয় থানায় কেউ মামলা করতে আসেননি। আসলে মামলা নেওয়া হতো। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>