বাগেরহাটের শরণখোলায় কোরবানির হাট মাতাতে আসছে ৩২ মণ ওজনের ‘অগ্নি’। গরুটির দাম চাওয়া হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। চিতলমারি উপজেলায় ‘রাজাবাবুর’ পর এই অগ্নিই জেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত এ বছরের সেরা। রাজাবাবুর ওজন ৩০ মণ বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের রাজেশ্বর গ্রামের হালিমা ডেইরি ফার্মে দুই বছর ধরে লালন-পালন করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের সাদা-কালোর মিশ্রণের ৩২ মণের এই অগ্নিকে।
ফার্মের পরিচালক কলেজছাত্র মো. জাবের হোসেন জানান, তার ফার্মেই দুই বছর আগে জন্ম হয় অগ্নির। সেই থেকে অতিযত্নে লালন-পালন করা হয় গরুটিকে। তাকে সয়াবিনের খৈল, গমের ভূষি, মুগডালের ভূষি ও নেপিয়ার ঘাস খাওয়ানো হয়। তবে কোনো প্রকার মোটাতাজাকরণের ক্ষতিকর খাবার খাওয়ানো হয়নি। বর্তমানে প্রতিদিন খাবার হিসেবে প্রায় এক হাজার টাকার মতো খরচ হয়। খাবার ও অন্যান্য মিলিয়ে দুই বছরে প্রায় চার লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে তার পেছনে।
পরিচালক জাবের হোসেন জানান, অগ্নির দাম চাওয়া হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। শনিবার (২ জুলাই) সকালে এক ব্যবসায়ী ১০ লাখ টাকা দাম বলেছেন। তবে ১২ লাখ হলে বিক্রি করার আশা তার। তার ফার্মে অগ্নি ছাড়াও ফ্রিজিয়ান জাতের ১২টি গাভিসহ মোট ১৫টি গরু রয়েছে। তার জানামতে জেলার মধ্যে অগ্নিই এ বছরের সবচেয়ে বড় গরু।
ফার্মার জাবের হোসেন এ বছর শরণখোলা সরকারি কলেজ থেকে বিবিএ পাস করেছেন। তিনি ফার্ম পরিচালনার পাশাপাশি লেখাপড়াও চালিয়ে যাচ্ছেন। এই গরুটি দেখার জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসেন তার ফার্মের। প্রয়োজনে ০১৭১৩৯১৩৭০৬/ ০১৯২০৪৯৩২৪২ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শরণখোলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, শরণখোলার ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় গরু বলে জানা গেছে। গরু লালন-পালনের জন্য তারা ফার্মারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত তারা খোঁজ-খবর রাখছেন।
তিনি আরো জনান, হালিমা ডেইরি ফার্মের এই গরুটি এলাকার জন্য অনুকরণীয়। এ দেখে অনেকেই গরু পালনে উৎসাহিত হবে।