গোপালগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ক্ষমা বিশ্বাস হত্যা মামলায় অজিত বাকচী নামের একজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আমলি আদালত। সেই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার অপর আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার খোর্দ্দ দূর্বাশুর গ্রামের রমেশ বাকচীর ছেলে অজিত বাকচী নিহত ক্ষমা বিশ্বাসের মেয়ে তপু বিশ্বাসকে এক বছর আগে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় ওই পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছিলেন আসামিরা।

২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে পূজার অনুষ্ঠান দেখে বাড়ি ফিরছিলেন ক্ষমা বিশ্বাস, মেয়ে তপু বিশ্বাস, ছেলে অপু বিশ্বাস ও বোন স্বপ্না। পথিমধ্যে তপুকে জোর করে ছিনিয়ে নিতে গেলে মা ক্ষমা বিশ্বাস বাধা দেন। এ সময় ধারাল ছুরি দিয়ে অজিত বাকচী তার বুকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। এ সময় ছেলে অপু বিশ্বাসকেও আহত করেন অজিত। এ ঘটনার পরদিন মুকসুদপুর থানায় দুজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক উপরোক্ত রায় দেন।

সরকারপক্ষে এপিপি শহিদুজ্জামান খান এবং আসামিপক্ষে ফজলুল হক খান মামলাটি পরিচালনা করেন।