<p>ঢাকার ধামরাইয়ে কুশুরা বাজার থেকে ধানতারা বাজার পর্যন্ত সড়ক মেরামত ও প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। সড়ক প্রশস্ত করতে গিয়ে দু'পাশের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নিয়েছেন ঠিকাদার রানা। কিন্তু কৃষকদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। কয়েক দফা তারিখ দিয়েও ঠিকাদার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কাছেও যাননি। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।  </p> <p>উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ থেকে জানা গেছে, ঢাকা বিভাগের উপজেলা ও ইউনিয়নের সড়ক প্রশস্ত ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় কুশুরা বাজার-ধানতারা বাজার পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়ক মেরামত ও প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। এতে ব্যয় হবে ১৪ কোটি টাকা। মেসার্স ইসমাইল হোসেন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পেয়েছে। এর স্বত্বাধিকারী রানা মিয়া। সড়কের দু'পাশে প্রস্তকরণের জন্য প্রতি ঘনমিটার মাটির জন্য ৩১২ টাকা বরাদ্দ দেওয়া আছে। সড়ক প্রশস্তকরণের ক্ষেত্রে দুই পাশে বৈধ উপায়ে মাটি সংগ্রহ করে ঠিকাদারেরই সরবরাহ করার কথা। ঠিকাদার রানা সড়কের দু'পাশের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে রাস্তা প্রশস্ত করেছেন। কিন্তু কোনো কৃষককে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেননি। কৃষকদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলেও দিই-দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ করছেন। এতে ফসলি জমি থেকে কেটে নেওয়া মাটি ভরাট করে পুরনায় চাষাবাদের উপযোগী করে তুলতে যে টাকা লাগবে তা কিভাবে পাবেন তা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। </p> <p>সাইট্টা  গ্রামের কৃষক মেহের আলী, বায়েজীদসহ ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আমাদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক প্রশস্ত করেছে, এতে কোনো আপত্তি নেই। তবে ঠিকাদার ক্ষতিপূরণ তো দেবে! ঠিকাদার দুই মাস ধরে আশ্বাস দিয়ে আসছেন। দিই-দিচ্ছি বলে ঘোরানো হচ্ছে। </p> <p>কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে ঠিকাদার রানার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'অনেক ব্যস্ততার মধ্যে থাকি, সময়ই তো পাই না। কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেব কোনো একসময়ে। না তো করিনি।'</p>