পানি ঢুকে পড়ে ত্রাণসামগ্রী বহনকারী একটি ট্রলারে। ডুবে যাওয়ার আগেই ট্রলারটি মালামালসহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে আসেন ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা। পরে পুলিশের সহায়তায় স্থানীয় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে দেন ট্রলারে আসা স্বেচ্ছাসেবীরা।
বিজ্ঞাপন
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের সোনাডুবি হাওরে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ট্রলারে থাকা খালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম লাল ৯৯৯-এ ফোন দেন। কল পেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা পর সেখানে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। তবে তার আগেই ত্রাণসহ ট্রলারে থাকা লোকজনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
ট্রলারে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম লাল বলেন, 'টাঙ্গাইল থেকে ৬০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আমরা সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করি। সোনাডুবি হাওর এলাকায় একটি ভাঙা ডুবন্ত বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে ট্রলারটির। এ সময় ৬০০ প্যাকেট ত্রাণসহ ট্রলারটি অনেকটা ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা ট্রলারটি উদ্ধার করে।
৯৯৯-এ ফোন দেওয়ার এক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান বলে অভিযোগ আব্দুল হালিমের। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পৌঁছনোর আগেই ট্রলার উদ্ধার হলেও তারা এসে ত্রাণসামগ্রী উদ্ধারে কাজ করেন বলে জানান তিনি। পরে ত্রাণগুলো নোয়াগাঁও এলাকায় বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
সোনাডুবি হাওরে ভাঙা বিদ্যুতের খুঁটির বিষয়টি জানা নেই কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামানের। তিনি বলেন, 'খোঁজ নিয়ে দেখব। '
কলমাকান্দা ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার রফিকুল ইসলাম ৯৯৯ থেকে ফোন পাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, 'আমরা জানার ১৫ মিনিটের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে স্থানীয়দের সহযোগিতার সকল ত্রাণ উদ্ধার করা হয়েছে। '
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আহাদ বলেন, একটি কাঠের পুরনো ট্রলারে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিল। ট্রলারে তলায় বিদ্যুতের খুঁটির ধাক্কায় ফুটো হয়ে পানি ওঠে। তবে জানমালের কোনো ক্ষতি হয়নি। এলাকার লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সদস্যরা ত্রাণসামগ্রীগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পরে ত্রাণ নিয়ে আসা লোকজন স্থানীয় বন্যার্ত অসহায় মানুষের মাঝে প্যাকেটগুলো বিতরণ করে দেন। '