নিহত শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার (বাঁয়ে) এবং হত্যা মামলার আসামি আশরাফুল ইসলাম জিতু।
সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে ছাত্রের বিরুদ্ধে। ছাত্র দশম শ্রেণি হওয়ায় মামলায় তার বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ১৬ বছর। এতে ওই আসামি কিশোর হওয়ায় তার সাজা কম হতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
যদিও পুলিশ এখনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বিজ্ঞাপন
আসামি জিতু আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী কলেজের ছাত্র। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কলেজে গিয়ে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, নবম শ্রেণিতে এসএসসির রেজিস্ট্রেশনের কাগজে আশরাফুল ইসলাম জিতুর জন্ম তারিখ ২০০৩ সালের ১৭ জানুয়ারি উল্লেখ আছে। সে হিসাবে এখন তার বয়স ১৯ বছর পাঁচ মাস। তবে তার সহপাঠীদের রেজিস্ট্রশনপত্রে জন্মসাল ২০০৫ থেকে ২০০৬-এর মধ্যে।
প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক মনির হোসেন বলেন, ‘জিতু আগে মাদরাসায় পড়াশোনা করত। মাদরাসা থেকে হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে গত বছর নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। সাধারণ স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগে তার শিক্ষা বিরতি ছিল। এ কারণে তার বয়স দশম শ্রেণির একজন সাধারণ ছাত্রের মতো নয়। ’
শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ওই শিক্ষকের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার ভোরে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার মারা যান। রবিবার (২৬ জুন) আশুলিয়া থানায় নিহত শিক্ষকের ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় জিতুর বয়স উল্লেখ করা হয় ১৬ বছর।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘বাদী এজাহারে জিতুর বয়স উল্লেখ করেছেন ১৬ বছর। বাদী এজাহারে যেটা উল্লেখ করেন সেটাই আমরা নেব। ’
তিনি আরো বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে তো আমরা ব্যবস্থা নেব। বাদীর এজাহারে আমরা তাৎক্ষণিক মামলা গ্রহণ করেছি। তদন্তে সবই বের হয়ে আসবে। ’