নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন হাদিউল্লাহ। ছবি : কালের কণ্ঠ
পরকীয়ার জেরে হাদিউল্লাহ নামের এক যুবকের দুই হাতের কবজি কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে নরসিংদীর পলাশে এ ঘটনা ঘটে।
হাদিউল্লাহ শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের বাড়িগাঁও গ্রামের মোরশেদ মিয়ার ছেলে। অন্যদিকে অভিযুক্ত শেখ জালাল মিয়া নোয়াকান্দা গ্রামের আক্কাছ মিয়ার ছেলে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে এর আগে একাধিকবার সালিস হয়। এক পর্যায়ে ওই নারী হাদিউল্লাহর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করেন। এতে ছয় মাস কারাভোগ করেন হাদিউল্লাহ। কারামুক্তির পর তারা আবারও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
সোমবার বিকেলে হাদিউল্লাহকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন বলে দুলাভাই জালাল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যান ওই নারী। ভোর ৪টার দিকে হাদিউল্লাহকে বাড়ির পাশের একটি ঝোপে ডেকে নেন জালাল। সেখানে হাত-পা ও মুখ বেঁধে তার দুই হাতের কবজি কেটে দেন জালাল।
হাদিউল্লাহর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এ ঘটনায় জড়িত নারী সম্পর্কে হাদিউল্লাহর চাচি হন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। হাদিউল্লাহর দাদা আবদুর রশিদ এ ঘটনার জন্য ওই নারীকে দায়ী করেন। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ বলেন, চাচির সঙ্গে পরকীয়ার জেরে এ ঘটনার সূত্রপাত। অভিযুক্ত শেখ জালাল একজন শীর্ষ ডাকাত দলের সদস্য। তার নামে একাধিক ডাকাতি মামলাও রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ মামলা করেনি। মামলা দায়েরের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।