মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতাধীন ৫৪ জন মাঠ জরিপকারীর সম্মানীর টাকা নিয়ে নয়ছয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁদের জন্য বরাদ্দের ২০ লাখ টাকার মধ্যে দেওয়া হয়েছে মাত্র আড়াই লাখ টাকা। বাকি টাকা দিতে গড়িমসি করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাই টাকার দাবিতে গত রবিবার স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঘেরাও করেন ভুক্তভোগী জরিপকারীরা।
বিজ্ঞাপন
জরিপকারীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় কমলগঞ্জ উপজেলার ৯ ইউনিয়নে আর্সেনিক পরীক্ষার জন্য শর্তসাপেক্ষে মোট ৫৪ জন নলকূপ পরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই তথ্য সংগ্রহকারীরা ৯টি ইউনিয়নে জরিপকাজ শেষ করেন। গত ৬ মার্চ প্রথম দফায় তাঁদের মাঝে দুই লাখ ২৫ হাজার টাকা বিতরণ করে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু দুই মাস ধরে তথ্য সংগ্রহকারীরা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুজন সরকারের কাছে ধরনা দিয়ে এলেও নানা অজুহাতে বাকি টাকা বুঝিয়ে দিচ্ছেন না।
কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের তথ্য সংগ্রাহক রাজু দত্ত জানান, তাঁদের ভাতার টাকা এরই মধ্যে উত্তোলনও করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাঁদের টাকা বুঝিয়ে দিতে এখন টালবাহানা চলছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সুজন সরকার বলেন, তাঁদের প্রথম দফায় কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে টাকা এলে বাকিটা দেওয়া হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত উদ্দীন বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।