রাজবাড়ী থানার ডিউটি অফিসারের কাছে ফোন করে ডিবির ওসি পরিচয় দিয়ে আটককৃত আসামির স্বজনদের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার পর পুলিশ কথিত ওই ডিবির ওসিকে গ্রেপ্তারে মাঠে নামে। অবেশেষে সোমবার কথিত ওই ডিবির ওসি এবং তার আরেক সহযোগীকে রাজবাড়ী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে। আজ সোমবার সকালে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গোসাই গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কথিত ডিবির ওসি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ইসলামপুর গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে জাকির (২৭) ও তার সহযোগী একই জেলার মজলিশপুর গ্রামের মৃত জামির হোসেনের ছেলে ইদ্রিস মিয়া (৫৫)।
মামলার বাদী জানিয়েছেন, গত ১৯ জুন বাদীর ফুফাতো ভাই লিটন খাঁ ওরফে মিটুলকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে রাজবাড়ী থানায় এনে রাখে। পরদিন সকাল ১০টার দিকে ডিবি পুলিশের ওসি পরিচয় দিয়ে থানার ডিউটি অফিসারকে ফোন দিয়ে আসামি লিটন খাঁ ওরফে মিটুলের পরিবারের সদস্যদের চায়। ওই সময় ডিউটি অফিসার মিটুলের স্বজনদের কাছে ফোন দেন।
তখন কথিত ডিবির ওসি ওই স্বজনদের কাছে 'আসামি মিটুলকে ছেড়ে দেওয়া হবে' বলে ২৫ হাজার টাকা দাবি করে। তখন মিটুলের স্বজনরা দুটি বিকাশ নম্বর থেকে ২৫ হাজার টাকা ওই ডিবি ওসির দেওয়া বিকাশ নম্বরে পাঠায়। পরে আসামি মিটুলকে আদালতে পাঠানো হলে স্বজনরা প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পারেন। যে কারণে তিনি রাজবাড়ী থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
রাজবাড়ী থানার এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা এলাকা থেকে কথিত ডিবির ওসি জাকিরকে এবং ঢাকার সোহরাওয়ার্দী এলাকা থেকে জাকিরের সহযোগী ইদ্রিসকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।