সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর দুই তীরেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। ডান তীরের শাহজাদপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন এবং বাম তীরের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে এখনো কেউ দাঁড়ায়নি। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে।
বিজ্ঞাপন
গত সাত দিনে শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী ইউনিয়নের আরকান্দি ও ঘাটাবাড়ী, জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, পাকুরতলা ও ভেকা এবং কৈজুরী ইউনিয়নের হাটপাচিল ও শরীফ মোড় এলাকায় ভাঙনে অন্তত ৫০টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
জালালপুর ইউপির চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে উপজেলা প্রশাসনে জমা দিয়েছি; কিন্তু এখনো কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। '
কৈজুরী ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খোকন বলেন, পাচিল এলাকায় যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজে গাফিলতির কারণে এ বছর গ্রামের মানুষ নদীভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে। ঠিকাদাররা সময়মতো বস্তা ফেললে এই ক্ষতি হতো না।
বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোল্লা বলেন, 'যমুনা নদীর বাম তীরে সিরাজগঞ্জের সীমান্তবর্তী চৌহালী উপজেলার সর্বদক্ষিণে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চরসলিমাবাদ, চরবিন্নানই ও ভূতেরবাড়ী এলাকায় সারা বছরই নদীভাঙন ছিল। আগে দেড় শতাধিক বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। সম্প্রতি ভাঙনে বিলীন হয়েছে আরো দেড় শতাধিক বসতবাড়ি। দুটি স্থানের ভাঙন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভূতেরবাড়ী এলাকায় এখনো তীব্র ভাঙন চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকাংশ পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের তালিকা তৈরি করে উপজেলায় জমা দিয়েছি; কিন্তু এখনো কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। '
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বুধবার বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। ভাঙনের স্থানগুলোতে সংস্কারকাজ চলছে। আতঙ্কের কিছু নেই। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।