ঝালকাঠির রাজাপুরে উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের এক এসআইসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে উপজেলার বাঘরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার বিকেলে রাজাপুর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। শহরের বাইপাস সড়কে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একই স্থানে সমাবেশ আহ্বান করেন। দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা বাইপাস এলাকায় গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। দুই পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের লাঠিপেটা করে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা শহরের বাঘরি এলাকায় জড়ো হন। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে রাজাপুর থানার এএসআই মামুনসহ উভয় পক্ষের ১০ নেতাকর্মী আহত হন বলে দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. নাসিম আকন বলেন, 'সম্মেলন পণ্ড করতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে। তারা বিএনপি অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায়। আমাদের পাঁচ-ছয়জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আমরা দলীয় কার্যালয়ে সম্মেলন করতে পারিনি, তবে অন্য কোথাও সম্মেলন করার চেষ্টা চলছে। '
রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ বাবু বলেন, 'ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলযোগে বাঘরি এলাকায় গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের চার-পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়। '
রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ লাঠিপেটা করে উভয়কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সার্কেল) মো. মাসুদ রানা বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।