সিলেটের বিশ্বনাথে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঘরে তোলা ভেজা ধান নিয়ে বিপাকে উপজেলার অধিকাংশ কৃষক। বোরো ধান মাড়াইয়ের মৌসুমে একদিকে বন্যার পানি, অন্যদিকে বাড়িতে ওঠানো ভেজা ধান নিয়ে উভয় সংকটে কৃষকরা। ফলে ধান শুকাতে না পেরে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন পার করছেন তাঁরা।
অনেকেই বাধ্য হয়ে ঘরের ভেতরে সিলিং ফ্যানের বাতাসে ধান শুকাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসতঘর বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ফলে পরিবার-পরিজনের পাশাপাশি, বোরো ধান নিয়েও বিপাকে রয়েছেন মানুষজন। টানা বর্ষণ ও সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিলের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারণে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। এতে মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানিতে তলিয়ে গেছে পাঁচ হেক্টর বোরো ফসল, ৩০ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা ও ১৫ হেক্টর সবজি ক্ষেত। এমন পরিস্থিতে মানবেতর জীবন যাপন করছে এসব এলাকার মানুষ। অনেকেই ভেজা ধান শুকাতে পারছেন না। ফলে কৃষকদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কণক চন্দ্র রায় বলেন, 'প্রতিনিয়তই আমরা কৃষকদের অবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি। যেসব ধানের জমিগুলো ডুবে যাচ্ছে সেগুলো যাতে তাড়াতাড়ি কর্তন করা হয় সে ব্যাপারে পরামর্শ দিচ্ছি। এর মধ্যে পানিতে প্রায় পাঁচ হেক্টর বোরো ফসলি জমি, ৪০ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা ও ১৮ হেক্টর সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।