চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে একটি মাছ ধরা ছোট নৌকায় গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) জেলার শিবগঞ্জ আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মো. আওয়াল (২২) মাছ ধরতে যান। এদিন সন্ধ্যায় বজ্রপাতে নদীতে নিখোঁজ মো. আওয়ালের মরদেহ ঘটনার প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে।
শনিবার (২১ মে) সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থল জেলার সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা সীমানায় সদরের নারায়ণপুর ইউনিয়নের ধুলাউড়ি ঘাটের অদূরে তাঁর মরদেহ মাছ ধরা জালে আটকে ভেসে ওঠে। এ সময় তাঁর খোঁজে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরিদলের টানা দ্বিতীয় দিনের অনুসন্ধান চলছিল।
বিজ্ঞাপন
ঘটনাস্থল থেকে নিহতের চাচা আনোয়ার হোসেন মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডুবুরি দলনেতা সাব-অফিসার মো. নুরুন্নবী বলেন, 'গত বৃহস্পতিবার পিতা-পুত্রসহ শিবগঞ্জের দুর্লভপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনজন মাছ ধরতে নৌকা নিয়ে পদ্মা নদীতে যায়। মাছ ধরতে ধরতে তারা ভাটিতে সদরের দিকে গিয়ে সন্ধ্যায় বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়ে। এ সময় নৌকাতে বজ্রপাত হলে একজন অজ্ঞান হয়ে যায়। নদীতে নিখোঁজ হয় পিতা-পুত্র। খবর পেয়ে ডুবুরিরা গত শুক্রবার সকাল থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে সকালেই পিতার মরদেহ উদ্ধার করে। শনিবার পুত্রকে উদ্ধারে কাজ শুরুর পরপরই তার মরদেহ ভেসে ওঠার খবর পাওয়া যায়। '
এদিকে নিহতের অপর চাচা মো. নবীন (৩০) বলেন, 'মর্মান্তিক এ ঘটনায় শুধু পরিবার বা স্বজনদের মধ্যেই কেবল নয়, পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমেছে। নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহত বদিউরের ছেলে আওয়াল জীবনে প্রথমবারের মতো পিতাকে সাহায্য করতে নদীতে গিয়ে দুর্ভাগ্যক্রমে পিতার সঙ্গে অপঘাতে মৃত্যুবরণ করে। '