পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বেপরোয়া গতির যাত্রীবাহী বাসের চাপায় হারুন অর রশীদ শেখ (৫৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো দুই আরোহী। আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মঠবাড়িয়া পাথরঘাটা সড়কের মুসুল্লীবাড়ি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হারুন অর রশীদ শেখ পিরোজপুর জেলা সদরের উত্তর রানীপুর মহল্লার গহর আলী শেখ এর ছেলে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে। অভিযুক্ত চালক মাসুম মোল্লা (৩৫) ও বাসের হেল্পার নূরু মোল্লাকে (৫০) গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী হানিফ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-৭২০২) পাথরঘাটার উদ্দেশে যাচ্ছিল। অপরদিকে, পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে অফিস সহায়ক হারুন অর রশীদ তার ছেলে আহসান শেখ (৪০) ও নাতি লিমন শেখকে (১৬) নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে মঠবাড়িয়ায় নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ছেলে আহসান মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন। মঠবাড়িয়া-চরখালী সড়কের মুসুল্লীবাড়ি নামক স্থানে আসলে বেপরোয়া গতির বাসটি মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এসময় ঘটনাস্থলেই হারুন অর রশীদ নিহত হন। মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। মোটরসাইকেল চালক আহসান ও নাতী লিমন গুরুতর আহত হয়। বাসটি দুর্ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা স্থানীয় সাফা বন্দর এলাকায় চালক ও হেলপারসহ বাসটিকে আটক করেন।
মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতর লাশ উদ্ধার করে। আহত দুজনকে স্থানীয় ধানীসাফা বন্দরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ঘাতক বাস ও অভিযুক্ত বাস চালক-হেল্পারকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ নূরুল ইসলাম বাদল জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর হচ্ছে। বাসটি আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাসচালক ও হেল্পারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বুধবার একই সড়কের মঠবাড়িয়া-চরখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের গুদিঘাটা নাম স্থানে অপর একটি বাসের চাপায় স্থানীয় তুষখালী মহিউদ্দিন মহারাজ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র মিলন হাওলাদার (১৮) নিহত হন।