খুলনায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে এক পাচারকারী দম্পতিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক আ. সালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মো. শাহীন খান ও তার স্ত্রী আসমা বেগম ওরফে সালমা। তবে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, নগরীর খানজাহান আলী থানার বিআইটি রোডের খানবাড়ি এলাকার এক ভাড়াটিয়া নারীকে ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে শাহীন ও তার স্ত্রী আসমা বেগম ভারতে ভালো চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান। ওই তরুণী বিষয়টি তার মাকে জানালে তিনি নিষেধ করেন। পরে ১৯ অক্টোবর সকাল থেকে ওই তরুণী নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তরুণীর মা খানজাহান আলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে তিনি জানতে পারেন, তার মেয়েকে ভারতে কানাডা ব্রিজ এলাকার জনৈক গণেশের বাড়িতে রাখা হয়েছে। সেখানে তাকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি শাহীনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েকে ফেরত চাইলে তিনি ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ ঘটনায় শাহীন ও তার স্ত্রীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।
২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অসীম কুমার ঘোষ আসামি শাহীন খান ও তার স্ত্রীসহ আরো পাঁচজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের স্পেশাল পিপি ফরিদ আহমেদ।