টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পৌরসভা এলাকার রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের মধ্য দিয়ে পাকা সড়ক নির্মাণ কাজ ঠেকানো যায়নি। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্মিত পাকা সড়কটি ভেঙে ফেলার ৬ মাস পর আবার নির্মাণ কাজ শেষ করেছে পৌর কতৃপক্ষ। গত ২ মে ঈদুল ফিতরের আগের দিন সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ করেছে ঠিকাদার। অথচ পৌর কতৃপক্ষ বলছেন তারা এ বিষয়ে অবগত নন।
বিজ্ঞাপন
গত বছরের ২৯ জুলাই বিদ্যালয়ের মাঠের মধ্য দিয়ে পাকা সড়ক নির্মাণের বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেন। লিখিত পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, কোনো প্রকার অনুমতি ও সম্মতি ছাড়াই সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জায়গা নষ্ট হচ্ছে। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে এবং বিদ্যালয়ের সৌন্দর্যও নষ্ট হবে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককেও লিখিতভাবে অবগত করা হয়। এ বিষয়ে ৩১ জুলাই কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওই সময় স্থানীয় প্রশাসন সড়ক নির্মাণের কাজ স্থগিত রাখে। পরবর্তীতে ২৫ অক্টোবর টাঙ্গাইলের তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম সড়কটি ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে অপসারণের জন্য তৎকালীন পৌরসভার মেয়রকে পত্র মারফত অনুরোধ করেন। পত্রপ্রাপ্তির পর নির্ধারিত সময়ের পর ১৪ নভেম্বর তৎকালীন মেয়র শহিদুজ্জামান খান সড়কটি অপসারণ করেন। সড়কটি অপসারনের ৬ মাসের মাথায় পৌর প্রশাসনের সহায়তায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কটি আবার নির্মাণ করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, তড়িঘড়ি করে ঈদের আগের দিন পুনরায় সড়কটির কাজ শেষ করা হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
বিদ্যালয়ের মাঠের মধ্য দিয়ে সড়ক পুননির্মাণ বিষয়ে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, সড়ক নির্মাণের বিষয়ে তিনি অবগত নন। এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তাদের কাছে নেই।
নির্মাণ কাজের ঠিকাদার কাজী নাসিম বলেন, বিষয়টি পৌরকতৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আগে রাস্তাটি দেড়ফুট উঁচু করে করা হয়েছিল। এবার মাঠ সমান নিচু করে করা হয়েছে।
পৌরসভার মেয়র আব্দুর রশিদ মিয়া বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিয়া চৌধুরী বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। স্কুল মাঠ থেকে অবশ্যই সড়কটি অপসারণ করা হবে।