কক্সবাজারে উখিয়া থানা পুলিশ সোমবার পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৮৪ রোহিঙ্গা ও ছয়জন মানবপাচারকারী দালালকে আটক করেছে। আটক রোহিঙ্গারা দেশের নানা স্থানসহ বিদেশে পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যে দলে দলে শিবির ছেড়ে যাচ্ছিল।
শিবির থেকে রোহিঙ্গারা একদম ফ্রি স্টাইলে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার জন্য উখিয়া বাসস্টেশনে জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশ কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটক রোহিঙ্গাদের পুনরায় শিবিরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
২০১৭ সালের আগস্টের পর থেকে রোহিঙ্গা নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে চারটি চেকপোস্টে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি চেকপোস্টগুলো উঠে যাওয়ায় রোহিঙ্গারা নির্ভয়ে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে।
উখিয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সরওয়ার আলম শাহীন বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের সেনাবাহিনীর চেকপোস্টগুলো উঠে যাওয়ায় রোহিঙ্গারা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। একইভাবে জেলাজুড়ে বেড়েছে অপরাধ কর্মকাণ্ড। সোমবার ক্যাম্প থেকে বের হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৩৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহাম্মদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, উখিয়া স্টেশনের আশপাশে অভিযান চালিয়ে ১৩৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। ওদিকে উখিয়া ভূমি অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে সন্ধ্যায় পাচারকারীদের কবল থেকে আরো ৪৮ রোহিঙ্গা নারী ও শিশুকে উদ্ধারসহ আটক করা হয়েছে ছয়জন পাচারকারীকে।
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে সেনাবাহিনী চেকপোস্টগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া অনেক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ সাগরপথে মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছে। দ্রুত চেকপোস্টগুলো চালু করা না হলে সারা দেশে রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপে মালয়েশিয়াগামী ট্রলার থেকে ১০০ রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশ। এর চার দিন পর গত ২৫ মার্চ টেকনাফের বাহারছড়া উপকূল থেকে ৫৪ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ শিশুকে আটক করা হয়। তারা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে পুলিশকে স্বীকারোক্তি দেয়।